প্রকাশ : ২১ মে ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর মাছঘাটে ক্রমান্বয়ে ইলিশের সরবরাহ কমছে
নদীর নাব্য সংকটে চাঁদপুর মাছ ঘাটে প্রতি বছর ইলিশের আমদানি না বেড়ে কমছে। গত ৫ বছরে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশ সরবরাহ কমে পরিমাণ নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেক। একসময় এ ঘাটের বড় আড়তদাররা বছরে এক থেকে দেড় কোটি টাকা আয় করত। কিন্তু বর্তমানে তা কমে এক-তৃতীয়াংশে এসে দাঁড়িয়েছে বলে জানান এখানকার মাছঘাট ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় এই মাছ ঘাটে অনেক আড়তদার এখন খুচরা বিক্রেতা হয়ে কোনোভাবে ব্যবসা ধরে রেখেছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাঁদপুর মাছ ঘাটের সেই আভিজাত্য এখন আর নেই। ব্যবসায়ীরা জানান, এখন আর আগের মতো মাছ চাঁদপুর মাছঘাটে আসে না। ট্রলার মালিকরা এখন বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা আড়তে সুবিধা নিয়ে মাছ সরবরাহ করছে। যে জন্যে গত পাঁচ বছরে এ ঘাটে ইলিশ সরবরাহ ক্রমান্বয়ে কমছে। ট্রলার মালিকরাও স্বীকার করেছেন এমন অভিযোগ।
এদিকে ব্যবসায়ী নেতারাও বলেন, চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটের সে আভিজাত্য এখন আর নেই। এ ঘাটে শতাধিক আড়তদার থাকলেও ১৫ হতে ২০টি ছাড়া বাকিগুলো এখন খুচরা মাছ বিক্রি শুরু করেছে। নদীর নাব্য সংকটের কারণে নদীতে ইলিশ আসতে বাধা পাচ্ছে। নাব্য কতটা কমেছে তা প্রমাণের জন্য ফেরিঘাটগুলোর দিকে তাকালেই হয়। হরিণা ফেরিঘাট, মাওয়া ফেরিঘাটসহ যেসব ফেরি ঘাট রয়েছে সেগুলোতে নাব্যের কারণে অনেক সময় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। পরিভ্রমণশীল স্বভাবের ইলিশ মাছ সাগর মোহনা হয়ে মেঘনা নদী দিয়ে পদ্মায় এসে চলাচল করে। এরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে যেখানে ইলিশ ডিম ছাড়ে। সেখানে নাব্য সংকটের কারণে ইকো সিস্টেম সেটা বাধাগ্রস্ত করছে। সাগর থেকে দূরত্বের কারণেও ইলিশ নদী থেকে উঠে আসতে বেশ কয়েক জায়গায় বাধা পাচ্ছে। বিশেষ করে সাগর মোহনায় সহস্রাধিক জেলে জাল ফেলে মাছ ধরে। এভাবে মেঘনা নদীর মোহনায় মাছ ধরার অনেক কম মাছই সাগর থেকে উপরে উঠে আসতে পারছে। এভাবে পথে পথে ইলিশ ধরলে চাঁদপুরের সীমানায় ইলিশ পৌঁছতে পারে অনেক কম। তাই চাঁদপুরের নদীতে ইলিশের প্রাপ্যতা অনেক কম। সূত্র : যুগান্তর।