প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : ভোটারদের প্রতিক্রিয়া
মাদকের ভয়াবহতা ও ভূমিদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি চাই
আগামী ২১ মে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন করে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী পাঁচজনের মধ্যে চারজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। অপরজন আওয়ামী পরিবারের হলেও তিনি নবীন। ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে শুধু রেবেকা সুলতানা মুন্না ছাড়া অপর তিনজন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। নির্বাচনটি বিএনপি বর্জন করায় বলতে গেলে একমুখী নির্বাচন হচ্ছে। আর একমুখী নির্বাচন হওয়ায় একেবারেই সাধারণ ভোটারদের মাঝে এ নির্বাচন নিয়ে খুব বেশি আলোচনা নেই। তবে নির্বাচন নিয়ে যে তারা ভাবেন না তেমনটা নয়। তারা শঙ্কিত এই নির্বাচনের দ্বারা যদি কোনো মাদক, সন্ত্রাস ও ভূমিদস্যুদের পৃষ্ঠপোষক উপজেলার চেয়ারে বসে যায় তাহলে তো কোনো নিরীহ জনগণ শান্তিতে উপজেলায় বসবাস করতে পারবে না। মাদকের থাবা আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। এই আশঙ্কায় সাধারণ ভোটাররা শঙ্কিত।
নির্বাচন নিয়ে সদর উপজেলার বেশ কিছু ইউনিয়ন এবং পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নানা ধরনের ভোটারদের সাথে কথা হয়। তাদের কাছ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। তারা আলোচনায় আছেন এমন তিনজন প্রার্থীর ব্যাপারে মন্তব্য করেন। এর মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থীর ব্যাপারে ওইসব ভোটার তীব্রভাবে আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কারণ, তার সাথে যারা সবসময় থাকেন এবং তার গণসংযোগ যারা করেন তাদেরকে আমরা চিনি। তারা এই সমাজে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী এবং ভূমিদস্যু। এদের অনেকে একাধিক মাদক মামলার আসামী। উপজেলা এবং পৌরসভার বেশ কিছু এলাকা তাদের মাদক ব্যবসার অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত। তারা মানুষের জমি দখল, জবরদখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ নিরীহ জনগণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। কোর্ট এলাকায় তাদের সংঘবদ্ধ একটি চক্র রয়েছে যারা আদালতে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আসা লোকজনকে নানাভাবে হেনস্তা করে, আটকে রেখে চাঁদা আদায় করে। ওইসব এলাকার মানুষ তাদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। কারণ তারা ক্ষমতাসীন দলের সাথে রয়েছে। এবার যেহেতু তাদের নিজেদের মধ্যেই বিভেদ, দ্বিধা-বিভক্তি, তাহলে এবারই সুযোগ তাদেরকে প্রতিহত করা। নীরব ভোটের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমরা দেখিয়ে দেবো ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের মানুষ ভয় পায়, ভালোবাসে না। তাই আমরা সাধারণ নিরীহ ভোটারদের এখন একটাই চাওয়া-মাদকের ভয়াবহতা এবং ভূমিদস্যুদের কবল থেকে আমরা মুক্তি চাই। এখনই মাদকের ভয়াবহতার যে অবস্থা! তাদের গডফাদার যদি উপজেলার চেয়ারে বসতে পারে তাহলে ঘরে ঘরে মাদকের আস্তানা হয়ে যাবে। ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্যে কোনো নিরীহ মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না। সন্ত্রাসী ও পেশী শক্তির অভয়ারণ্য হবে ওইসব এলাকা।
উল্লেখ্য, এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সময় ওইসব নিরীহ সাধারণ ভোটার নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়েছে।