প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪, ০০:০০
বৃষ্টি নিয়ে যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া আগামী সোমবারের পর সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। বৃষ্টির কারণে এপ্রিলের চাইতে মে মাসের তাপমাত্রা থাকবে কম। তবে ১১ তারিখের পর বৃষ্টি কমে আসলে এক থেকে দুটি তীব্র অথবা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দুই থেকে তিনটি ছোট বা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে। এছাড়া চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে, যার একটি শক্তি বৃদ্ধি করে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পাশাপাশি বজ্র বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় বজ্রপাতের সময় সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, পাঁচ তারিখ থেকে বজ্র বৃষ্টি অথবা বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে থাকবে। ছয় তারিখ থেকে আরও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। পাঁচ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হবে। এর এলাকাও বাড়তে থাকবে। তিনি বলেন, এই বৃষ্টির ফলে আশা করছি ছয় তারিখ থেকে বিদ্যমান তাপপ্রবাহ বাংলাদেশে থাকবে না।
এর আগে গত ২ মে আবহাওয়া অফিস দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে জানায়, মে মাসে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখী সবকিছুরই সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। এ মাসে এতো দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ থাকবে না। তাপমাত্রা এপ্রিলের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে। মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা একটু বেশি থাকতে পারে। তবে তা এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। তাপপ্রবাহ এতো দীর্ঘ সময় ধরে থাকবে না।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও অবশ্য কয়েকটি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
মে মাসে তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে। দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি ও তীব্র কালবৈশাখী হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি থেকে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
এ দিকে এ মাসেই দেশের উত্তরাঞ্চল বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিলেটসহ হাওর অঞ্চলে) নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। কিছু কিছু জায়গায় তা বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।