বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

ঘটনাস্থল : শাহরাস্তির ঠাকুরবাজার

মধ্যরাতের আগুনে পুড়লো ১৪ দোকান ॥ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

মঈনুল ইসলাম কাজল ॥
মধ্যরাতের আগুনে পুড়লো ১৪ দোকান ॥ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

শাহরাস্তি উপজেলার ঠাকুরবাজারে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জানা যায়, ২২ এপ্রিল সোমবার গভীর রাতে অনিলের চা দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত।

বাজারের ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন জানান, রাত প্রায় ৩টার সময় আগুন লাগার দৃশ্য দেখতে পান বাজারের ঝাড়ুদার কল্পনা দাস। তিনি আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এদিকে বাজার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী বালতি ও পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন। ততক্ষণে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

আগুনে বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে পড়ে। আলু, পেঁয়াজ, রসুন, চা পাতা, লন্ড্রিসহ বিভিন্ন কাঁচামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো আঃ রব মিয়ার লন্ড্রি দোকান, মনু মিয়া ও বিল্লাল হোসেনের কাঁচামাল, দেলোয়ার হোসেনের সুতার দোকান, কামরুল ইসলামের কাঁচামালের আড়ৎ, অনিল সাহার চায়ের দোকান, পরেশ সাহার মুদি দোকান, মোশারফ হোসেনের কাঁচামালের আড়ৎ, বাচ্চু মিয়া ও বিল্লাল হোসেনের কাঁচামালের দোকান, সিরাজুল ইসলামের মুদি দোকান, আলমগীর হোসেনের পেয়াজ রসুনের আড়ৎ, আক্তার হামিদের মুদি দোকান, আলী হোসেন রতন মৃধার কুঠির শিল্প, জামাল হোসেনের কাঁচামাল ও নূরু মিয়ার পেঁয়াজ রসুনের আড়ৎ।

আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের মধ্যে শাহরাস্তি পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি ওহিদুল রহমানের ৩টি দোকান ঘর ও শ্রীপুর মিয়া বাড়ির আজিজুল হক ফরিদ মিয়ার ৫টি দোকান ঘর রয়েছে।

আগুনের সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক শাহ এনামুল হক কমল ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন জানান, রাতে আগুন লাগার পর বাজারের পাহারাদার আমাকে কল দিলে আমি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে জানাই। তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমি জানতে পেরেছি অনিলের চা দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। শাহরাস্তি পৌরসভা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের সহযোগিতা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়