সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২১, ০০:০০

ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ!
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ম-নীতির মধ্যেই হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তবে এ নিয়ে পূর্বের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চাকুরি প্রার্থী ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের বেশ কয়েকজনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ অনিয়ম, আত্মীয়করণ ও টাকার বিনিময়ে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি কলেজে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের জন্যে স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে ও নিয়মানুযায়ী বেশ কয়েকজন প্রার্থী আবেদন করেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্থগিত করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৬ মার্চ আবার নতুন করে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ৬জন, ল্যাব সহকারী ৬ জন (পদার্থ বিজ্ঞান), ল্যাব সহকারী ৫ জন (রসায়ন), এমএলএসএস ও নৈশ প্রহরী ৩ জন নিয়োগের জন্য স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিটি পূর্বে আবেদনকারীদের নজরে আসেনি এবং তারা এই বিজ্ঞপ্তি গোপনে প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ করেন। যার কারণে তারা আবেদন করা থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন।

এদিকে কলেজে পরিচালনা পর্ষদের শিক্ষানুরাগী সদস্য মোঃ রুহুল আমিন হাওলাদার, জহিরুল ইসলাম তালকুদার, অভিভাবক সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মিয়াজী ও আঃ রাজ্জাক মিয়াজী নিয়োগ প্রক্রিয়া তাদেরকে না জানিয়ে গোপনে করা হচ্ছে এমন সংবাদ জানতে পেরে নিয়োগ কমিটির সদস্য ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের নিকট বেআইনিভাবে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পর্কে ২৫ জুন লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু সদস্যদের অনুরোধ বা অভিযোগ আমলে না নিয়ে নিয়োগ কমিটির সদস্য হিসেবে চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ ২৬ জুন শনিবার কলেজে উপস্থিত হয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দায়িত্ব পালন করেন।

পরিচালনা কমিটির সদস্যরা আরো জানান, ২০২০ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের পর করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থগিত করা হয়, বাতিল করা হয়নি। ডিজির প্রতিনিধি চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ তখন ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত দিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হবে। কিন্তু বর্তমানে কলেজের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ অন্য সদস্যরা সম্পূর্ণ অনিয়ম করে আগের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছেন, যা কোনোভাবেই বাতিল করার সুযোগ নেই।

তারা আরো জনান, ২৬ জুন শনিবার নিয়োগ প্রক্রিয়া বৈঠকে কলেজের সভাপতির বাড়ির লোক ৩জন, কলেজের শিক্ষক হাবিবুর রহমান শেখের (প্রভাষক মার্কেটিং) নিকটাত্মীয় ১জন, কমিটির সদস্য আমিনুল হক মজুমদারের ১জন, হিতৈষী সদস্য হারুনুর রশিদ তালকুদারের ১জন, অভিভাবক সদস্য সেলিম পাটওয়ারীর ১জন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া আগেই সম্পন্ন করেছেন। আজকের দিনে শুধুমাত্র ডিজির প্রতিনিধির উপস্থিতি দেখিয়ে নিয়ম রক্ষা করেছেন।

কলেজের হিতৈষী সদস্য হারুনুর রশিদ তালুকদার বলেন, পরিচালনা পর্ষদের কমিটি নতুন করে হয়েছে। আগের অভিভাবক সদস্যদের আত্মীয়করণের লোক ছিলো বিধায় পূর্বের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কার্যকর হয়নি।

কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ফেরদৌসি আক্তার বলেন, আমি কলেজের সাধারণ শিক্ষক ছিলাম। এখন ভারপ্রাপ্ত হয়েছি। আগের নিয়োগের বিষয়ে পূর্বের অধ্যক্ষ ও কমিটির সদস্যরা বলতে পারবেন। এখন নতুন করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া করেছি। আগের বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ যেহেতু ছয় মাসে শেষ হয়েছে। তখন কারা আবেদন করেছে ওই বিষয়ে আমাদের জানা নেই এবং জানার প্রয়োজনও মনে করি না।

কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সুজিত রায় নন্দী বলেন, কলেজে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার জন্যে যথাযথ নিয়ম মেনে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। সে আলোকে আমরা কাজ করছি। পরিচালনা পর্ষদের যারা অভিযোগ করেছেন, তারা কলেজে আসেন না। তাদের জন্য আমাদের কলেজের উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকতে পারে না।

চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ বলেছেন, আমার দৃষ্টিতে এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কানো অনিয়ম হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। তারপরও আমাকে যেভাবে জড়ানো হয়েছে, তা দুঃখজনক ও কষ্টকর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়