আপন কিডস স্পোকেন ইংলিশ ক্লাবের বর্ণাঢ্য বসন্ত উৎসব

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিয়েছে চাঁদপুরের আপন কিডস্ স্পোকেন ইংলিশ ক্লাবের খুদে শিক্ষার্থীরা। এ উপলক্ষে ১৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। শীতের নির্জীব প্রকৃতি ছেড়ে সহসা জেগে ওঠা প্রকৃতির রূপ, রস, বর্ণ সর্বোপরি সৌন্দর্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সাজানো হয় অনুষ্ঠানস্থল। বসন্ত গানের নৃত্য, আবৃত্তি, পিঠা উৎসব, মেহেদি আঁকা, খেলাধুলাসহ বিভিন্ন আয়োজনে ঋতুরাজকে বরণের উৎসব উদযাপন করে এই ক্লাবটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

সামাজিক সংগঠন আপন ও আপন কিডস্ স্পোকেন ইংলিশ ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান রাশেদা আক্তারের সভাপ্রধানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আপনের উপদেষ্টা মাহমুদা খানম, রোটারিয়ান মাসুদ হাসান, আপনের সহ-সভাপতি রোটারিয়ান আশ্রাফুল আরিফ, যুগ্ম সস্পাদক সিত্তুল মোনা চৈতী, রোটারিয়ান নজরুল ইসলাম স্বপ্ন, ছাত্রনেতা ও সংগঠক মিঠুন বিশ্বাস, আপন ইংলিশ কিডস স্পোকেন-এর মেন্টর ওয়ালী উল্লাহ ও সামিয়া আক্তার।

বক্তারা বলেন, বাঙালির জীবনে বসন্তের অন্যরকম আবেদন রয়েছে। জরাজীর্ণ শীতের পর বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে। ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে আপন ইংলিশ কিডস স্পোকেন ক্লাবের এ আয়োজন ব্যতিক্রম এবং প্রশংসনীয়। বসন্ত মানে নতুন করে জেগে ওঠা। এই শুভক্ষণে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক বিভেদ-ব্যর্থতা ভুলে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হবার। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের ঋতুভিত্তিক উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে উন্নত বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্যে শুদ্ধভাবে মাতৃভাষা চর্চার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভাষায়ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সন্তানরা মাতৃভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষায় দক্ষ না হলে ভবিষ্যতে অনেক বেশি পিছিয়ে পড়বে। এজন্যে শিশু বয়স থেকেই তাদের মাতৃভাষা এবং ইংরেজিতে সমান পারদর্শী করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে আপন কিডস স্পোকেন ইংলিশ ক্লাবের কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা এই প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি, গান এবং নৃত্য পরিবেশন করেন কিডস স্পোকেন ক্লাবের শিশু শিক্ষার্থী রাইনা হাসান তাসনিয়া, ফারিন, শাফি, কাইশা, রেদওয়ানসহ অন্যরা।

জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর আমন্ত্রিত অতিথিদের ফুলের পরিবর্তে বই দিয়ে বরণ করা হয়।