সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২১, ০০:০০

আড়াই মাসেও নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান মিলেনি
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

২ মাস ১৪ দিন ধরে নিখোঁজ একমাত্র শিশু সন্তানকে ফিরে পেতে সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হয়েছেন ফাতেমা আক্তার নামে এক মা। গতকাল শনিবার দুপুরে চাঁদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মা ফাতেমা কেঁদে কেঁদে বলেন, তার ৫ বছরের একমাত্র সন্তান খাজিদা আক্তার গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায় শাহরাস্তি ছোটতুলা গ্রামের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে গত ৭ মে তিনি বাদী হয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, আমার মেয়ে বাড়ির উঠোনে খেলাধুলা করার জন্যে ঘর থেকে বের হয়। কিন্তু পরে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ৭ মে শাহরাস্তি থানায় এজাহার দায়ের করি। পরবর্তীতে আমি বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি তাকে একই এলাকার রবিউল আলম (২৫) তার মোটরসাইকেলে চড়াবে বলে নিয়ে যায়। এই রবিউলই তাকে অপহরণ করছে বলে তিনি দাবি করেন। তার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, প্রতিবেশি রবিউল তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিল। এই টাকা না পেয়ে রবিউল তার অপর সঙ্গী মোঃ ফরহাদ (৩০)সহ তার মেয়েকে অপহরণ করে বলে তিনি দাবি করেন।

শাহরাস্তি থানা পুলিশ গত ৭ মে এ ঘটনায় রবিউল ও ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ এই মামলায় তদন্ত করে সম্পৃক্ততা পেয়ে একই এলাকার সারোয়ার হোসেন, হিমাংশু চন্দ্র দাস, মোঃ একরামুল হক ভূঁইয়া ও হালিমা বেগমকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে একই এলাকার সুমন কবিরাজের কাছে খাদিজা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এরপর থেকে সুমন কবিরাজ পলাতক রয়েছে। কিন্তু এ ঘটনার দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাসেও খাদিজাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তার মায়েরও দাবি সুমন কবিরাজের কাছেই তার মেয়ে রয়েছে। কিন্তু পুলিশ উদ্ধার করতে পারছে না। তিনি এ জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামন করেন।

নিখোঁজ শিশুটির বাবা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত সাব্বির হোসেন বলেন, প্রশাসনই পারে আমার নিখোঁজ শিশু কন্যাকে খুঁজে দিতে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আউয়াল বলেন, আমরা এজহারভুক্ত আসামী ও সংযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করি। কিন্তু আমরা শিশুটির অবস্থান নিশ্চিত করতে পারছি না। তবে সুমনকে গ্রেপ্তার ও শিশুটির সন্ধানে তারা সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছেন বলে তিনি জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়