প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
একুশে পদক পেলেন চাঁদপুরের কৃতীসন্তান শিবলী মোহাম্মদ
রাষ্ট্রীয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার একুশে পদক গতকাল ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর একুশজন বিশিষ্ট মানুষ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার লাভ করেছেন। এবার নৃত্যকলায় একুশে পদক পেয়েছেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান শিবলী মোহাম্মদ। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পুরস্কার প্রদান করবেন।
উল্লেখ্য, শিবলী মোহাম্মদ দেশের প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার। কত্থক নাচের জন্যে দুই বাংলায় তাঁর বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে। তাঁর কাছে নৃত্য শিখেছেন অসংখ্য শিল্পী।
শিবলী মোহাম্মদের জন্ম ৪ এপ্রিল, ঢাকায়। পৈত্রিক নিবাস চাঁদপুরে। বাবা সলিমুল্লাহ মুক্তিযুদ্ধে শহিদ হন। মা জেবুন্নেসা বেগম। রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদী মোহাম্মদ তাঁর বড় ভাই।
শিবলী মোহাম্মদ ছায়ানট থেকে নিয়েছেন নৃত্যশিক্ষা। তাঁর শিক্ষক ছিলেন কার্তিক সিং, অজিত দে এবং অনিতা দে। পরে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে লখনোর ভাটখণ্ডে মিউজিক কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর শিক্ষক ছিলেন পূর্ণিমা পান্ডে। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কত্থক কেন্দ্রে বিখ্যাত পণ্ডিত বীরজু মহারাজের অধীনে কত্থক নৃত্যে পরিপূর্ণ তালিম নেন শিবলী মোহাম্মদ। তিনিই ছিলেন এ কেন্দ্রের প্রথম বাংলাদেশী ছাত্র। পরে যুক্তরাজ্য গিয়ে লন্ডন ব্যালেট থিয়েটারে ব্যালেট, ট্যাপ ও জ্যাজ নৃত্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
৫০টিরও বেশি দেশে শিবলী মোহাম্মদ নৃত্য পরিবেশন করেছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন নৃত্য প্রতিযোগিতায় তিনি বিচারক হিসেবে কাজ করেছেন। স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনেস্কো শিবলী মোহাম্মদকে সেরা বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত করেছে। এছাড়া পেয়েছেন জর্জ হ্যারিসন অ্যাওয়ার্ড, যায়যায়দিন পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার, প্রথম আলো পুরস্কার ও লাক্স চ্যানেল আই পুরস্কার।
শিবলী মোহাম্মদ ‘নৃত্যাচঞ্চল’ নৃত্য সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ২০০২ সালে শুরু হওয়া এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী নৃত্য শিখছে।