প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
ঘন কুয়াশায় চাঁদপুরে এক রাতেই চার লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ ॥ নিহত ১
ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে এক রাতেই চাঁদপুর নৌপথের মেঘনা নদীতে পৃথক দুই স্থানে চারটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে সোহেল নামে একজন যাত্রী মারা গেছেন। আহত হয়েছেন বেশ কজন। ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নৌবন্দর কর্মকর্তা মোঃ শাহাদাত হোসেন ও চাঁদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান।
তারা জানান, বরিশালের ইলিশা থেকে ঢাকাগামী সুরভী-৮ এবং ঢাকা থেকে ভোলা চরফ্যাশনগামী টিপু-১৪ লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচরের চরভৈরবী অতিক্রমকালে ঘনকুয়াশার কবলে পড়ে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সোমবার রাত ১২টায় এই দুর্ঘটনার সময় টিপু-১৪ লঞ্চটির ধাক্কায় সুরভী-৮ লঞ্চের কিনারে থাকা সোহেল নামের এক যাত্রীর বুকে লঞ্চটির পাইপ ভেঙ্গে জোরে লোহার আঘাত লাগে। এতে ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই ওই যাত্রী লঞ্চে মারা যান।
চাঁদপুর নদী বন্দর কর্মকর্তা বলেন, লঞ্চগুলোর তেমন কোনো ক্ষতি না হওয়ায় এবং মাস্টাররা যার যার গন্তব্যে চলে যেতে চাওয়ায় আমরা লঞ্চগুলো চলে যাবার অনুমতি দিয়েছি। চাঁদপুরে কোনো লঞ্চঘাটে লঞ্চ ভেড়াতে হয়নি।
আরেক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে নদীবন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুর হয়ে ঢাকা-পটুয়াখালী নৌপথে চলাচলকারী এমভি এ আর খান-১ এবং ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথে চলাচলকারী এমভি রফরফ-৭ লঞ্চের মধ্যে রাত সাড়ে ৩টায় মোহনপুর এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রফরফ-৭ লঞ্চের দোতলার টক্সিন ভেঙ্গে যায়। তবে যাত্রী সাধারণের জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, লঞ্চের মাস্টার ড্রাইভারদেরকে প্রতিনিয়ত দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং ঘন কুয়াশার মধ্যে নৌযান পরিচালনা না করার নির্দেশ দেওয়া ছিলো। তারা বন্দর বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অমান্য করে নৌযান পরিচালনা করার কারণেই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা ধারণা করছি।
এদিকে, উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার দাপটে চাঁদপুরে রোববার থেকে শীত জেঁকে বসেছে। সোমবার রাতে নৌপথসহ জেলার রাস্তাঘাট ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়ায় নৌযান ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। নৌ-পথে নৌযান ধীরে চলছে। লঞ্চ ও ফেরি বিলম্বে গন্তব্যে পৌঁছায়। চাঁদপুর নদীবন্দর খেয়াঘাটের মাঝিরা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে রাতের অনেক লঞ্চ দিনের আলো পেয়ে চলাচল করতে দেখেছেন তারা। নৌপথে নৌযান চালানো যাচ্ছে না। খুব একটা সমস্যা হয়ে গেছে এই ঠাণ্ডায়।