প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
হাজীগঞ্জের বড়কুলে জোড়া খুনের ঘটনায় ইউনিয়ন তরুণ লীগের সভাপতি মোঃ কাউছার হামিদ (৩০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলী গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মৃত আতিকুর রহমানের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন বলে জানা গেছে। মোঃ কাউছার হামিদকে গ্রেফতারের বিষয়টি হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে। এর আগে এ ঘটনায় সম্প্রতি স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আতিক পাটওয়ারী ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী হাছান মিয়াজীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাছান মিয়াজী জামিনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলিত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বড়কুল গ্রামের পান্নার বাড়ির পাশে (কালা সিতার বাড়ি) দুলাল সাহার বসতঘরের জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে একদল দুর্বৃত্ত। তারা ঘরের বাসিন্দা উত্তম চন্দ্র বর্মন তুফান (৭০) ও তার স্ত্রী কাজলী রানি বর্মনকে (৫৫) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার পরের দিন ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার খুনের শিকার স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। তুফান স্থানীয় রায়চোঁ (নোয়াহাট) বাজারের মাছ বিক্রেতা ছিলেন। তিনি উত্তর বড়কুল গ্রামের দাস বাড়ির মৃত হর্মণ চন্দ্র বর্ধনের ছেলে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র্যাবের হাতে আটক হয় মোঃ সোহাগ, আর সন্দেহভাজন হিসেবে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ১২ জনসহ মোট ১৩ জন আটক হয়। এর মধ্যে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তারা জানায়, ওই দিন রাতে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমানসহ চোর চক্র মদ পান করে চুরির উদ্দেশ্যে দুলাল সাহার বসতঘরে প্রবেশ করলে ঘরে থাকা উত্তম চন্দ্র বর্মন তুফান ও তার স্ত্রী কাজলী রানি বর্মণ ঘুম থেকে জেগে উঠে এবং তাদেরকে চিনে ফেলে। এ সময় তারা ডাক-চিৎকারের চেষ্টা করলে হাত-পা, চোখ বেঁধে বিছানার উপর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে স্বামী-স্ত্রীকে হত্যা করে এবং ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর চুরিকৃত মালামাল ওই দিন রাতেই মিজানের ঘরে রাখা হয় এবং পরে মিজান একটি কাঁসা/পিতলের মগ রেখে অন্য মালামাল একজন ভ্রাম্যমাণ হকারের কাছে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করে দেন। পরবর্তীতে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদের নেতৃত্বে গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে মোঃ সোহাগ ও মিজানুর রহমানকে নিয়ে পুলিশ চুরিকৃত মাল উদ্ধার করে।