মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে সুপারি বাগান কেটে ফেলার অভিযোগ
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সুপারি বাগান কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ১০ নভেম্বর ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের লড়াইচর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এই নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে থানায় ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা গেছে, চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের বিরামপুর বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান লড়াইচর গ্রামের মৃত আনা মিয়া বেপারীর ছেলে লেদু মিয়া থেকে সুপারি বাগানসহ কিছু জমি ক্রয় করেন। সম্প্রতি ক্রয়কৃত জমি রক্ষণাবেক্ষণ করতে গেলে ক্রয়কৃত জমি নিজেদের দাবি করে মৃত আনা মিয়া বেপারীর অন্য ছেলে ছফি উল্যা (সাবু) বেপারী ও তার ছেলে-মেয়েরা বাধা প্রদান করেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে থানা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে সালিস হয়। সর্বশেষ ১০ নভেম্বর ছফি উল্যা (সাবু) বেপারী ও তার ছেলে আলমগীর বেপারী সকালে মিজানুর রহমানের ক্রয়কৃত সুপারি বাগানের বিপুল সংখ্যক সুপারি গাছ গোপনে বিক্রি করে কাটা শুরু করেন। এ নিয়ে মিজানুর রহমান ও তার লোকজন বাধা দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। ৯৯৯ নম্বরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

মিজানুর রহমান জানান, আমি ক্রয় সূত্রে মালিক হওয়ার পর আমার নামে খারিজও হয়েছে। তারা নিজেদের জমি আছে দাবি করলেও কোনো কাগজপত্র দেখাচ্ছে না। উল্টো নানাভাবে হয়রানি করে। তারা আমার সুপারি বাগান থেকে বিপুল পরিমাণ সুপারি গাছ গোপনে বিক্রি করে সর্বশেষ শুক্রবার সকালে তা কেটে ফেলার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিতে দিতে প্রায় অর্ধশত সুপারি গাছ কেটে ফেলে। বাধ্য হয়ে আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে থানার আশ্রয় নেই। তাছাড়া আমি ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত অংশ তথা বসতবাড়ির অংশ বুঝে নিতে চাইলেও তারা টালবাহানা করছে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত আলমগীর বেপারী জানান, তারা ওয়ারিশ সূত্রে মালিক। কিন্তু মিজানুর রহমান জমি কেনার কথা বলে নানাভাবে দখল করতে চেষ্টা করছে। এ সময় তিনি সুপারি বাগান থেকে গাছ কাটার কথা স্বীকার করেন।

ফরিদগঞ্জ থানার এসআই শরিফুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ নম্বরে ফোন কলের ভিত্তিতে চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের লড়াইচর গ্রামে গিয়ে পরস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। এ সময় বেশ কিছু সুপারি গাছ কেটে রাখা অবস্থায় দেখতে পাই। আমি জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আলমগীরসহ ৩জনকে থানায় নিয়ে এসেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়