চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের ভাঙ্গন কবলিত যমুনা রোড এলাকার নদীতীর সংরক্ষণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। ৩১ অক্টোবর ওই এলাকায় তাঁর পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্বাঞ্চল) বাপাউবো মোঃ জাকির হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল), বাপাউবো, কুমিল্লা মোঃ আবুল খায়ের, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, চাঁদপুর পওর সার্কেল, বাপাউবো, চাঁদপুর এবং নির্বাহী প্রকৌশলী, বাপাউবো, চাঁদপুর মোঃ জহুরুল ইসলামসহ নদী ভাঙ্গন রোধ প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অংশীজন।

জেলা প্রশাসক বলেন, নদী ভাঙ্গনের মতো নিয়মিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে, ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাতীয় অর্থনীতি। এজন্যেই চাঁদপুর জেলার সংশ্লিষ্ট এলাকায় নদীর গতিবিধি ও ভাঙ্গন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ দ্বারা শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বর্ষা শেষে চাঁদপুরের মেঘনা, ডাকাতিয়া ও ধনাগোদা এই তিন নদীর পানি দ্রুত কমতে শুরু করেছে। এই সময় নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। চাঁদপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন বড় স্টেশন যমুনা ঘাট এলাকায় নদীর গভীরতা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানটি ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন পরিস্থিতির খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলছে।