প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা। উৎসবের আমেজে চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলার প্রতিটি মণ্ডপে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। ইতিমধ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন রং তুলির আঁচড়ে দেবীমূর্তি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। মণ্ডপ কমিটির সদস্যরা আলোকসজ্জা, ঢাকি, পুরোহিত ঠিক করা, মণ্ডপ সজ্জাসহ পূজার সরঞ্জাম ক্রয়ের কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এখন সাজসজ্জার কাজ চলছে ব্যাপকভাবে। এবারও পূজার পাঁচদিনই মণ্ডপে মণ্ডপে দেবী বন্দনার পাশাপাশি ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
পুরোহিতরা জানান, এ বছর দেবী দুর্গা ঘোড়ায় আগমন করে আবার যাবেন ঘোড়ায় চড়ে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলায় ২২৪টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪০টি, হাইমচর উপজেলায় ৬টি, হাজীগঞ্জ উপজেলায় ২৯টি, কচুয়া উপজেলায় ৪০টি, শাহরাস্তি উপজেলায় ১৮টি, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২০টি, মতলব উত্তর উপজেলায় ৩৪টি ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৩৬টি মণ্ডপ রয়েছে।
প্রত্যেকটি পূজা মণ্ডপে ইতিমধ্যে সাজসজ্জার ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। জেলা শহরের কালীবাড়ি মন্দির, গোপাল জিউর আখড়া ও পুরাণবাজার হরিসভা মন্দিরসহ বিভিন্ন মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরি ও সাজসজ্জার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ জানান, সুষ্ঠুভাবে পূজা সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ডিআইজির সাথেও আমাদের বৈঠক হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্গা দেবীর আগমনী বার্তাকে সামনে রেখে চাঁদপুরের মন্দিরে মন্দিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। মন্দিরে প্রতিমা শিল্পীরা রাতদিন শ্রম দিচ্ছেন যথা সময়ে কাজ শেষ করার জন্য।
প্রতিটি মন্দিরে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। সেই সাথে আইন-শৃংখলা রক্ষকারী বাহিনী আগের মত এ বছরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে জেলার সর্বত্র যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সকল পূজা মণ্ডপগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশনা রয়েছে।
এদিকে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এ বছর চাঁদপুর জেলায় ২২৪টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপন করা হবে। ইতিমধ্যে চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যদের সাথে জেলা পুলিশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে একজন করে পুলিশ অফিসারসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ফোর্স ও আনসার সদস্য মোতয়েন করা হবে। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট, সার্বক্ষণিক মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত থাকবে।
চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
১৬ অক্টোবর বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলার প্রশাসনিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া দুর্গাপূজা উদযাপন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংক্রান্ত ভিডিও কনফারেন্স করেছেন।