প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সচিবের মধ্যকার দ্বন্দ্বের জের ধরে উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা, মারধর ও পাল্টা হামলা এবং হামলায় আহত ব্যক্তিকে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ৮ অক্টোবর রোববার বিকেলে ও রাতে পৃথক এ ঘটনা ঘটে। এর আগে একই দিন দুপুরে অনিয়মের বিষয়ে কথা বলায় সচিবকে চেয়ারম্যান নিজে মারধর করার অভিযোগ উঠে। এই নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ৮ অক্টোবর রোববার দুপুরে চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদে চলমান একটি বৈঠকে সচিব ইমাম হাসান চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে কথাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান সচিবকে মারধর করেন বলে সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ৯ অক্টোবর সোমবার দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এদিকে দুপুরে মারধরের ঘটনার পর সচিবের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার। তিনি জানান, দুপুরের ঘটনার পর সচিবের বাহিনী তার বিশকাটালী গ্রামের বাড়িতে হামলা করে। তারা ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় তার বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ফিরোজপুর বাজারে তার ভাগ্নে ইমরান হোসেন মিশর (২৬)কে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। আহতাবস্থায় তাকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে পুনরায় হামলার চেষ্টা করে। পরে তাকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে রাতে ওই হাসপাতালেই ইমরানের উপর হামলা এবং তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে ইউপি সচিব ইমাম হাসান জানান, রোববার দুপুরের ঘটনার পর তিনি বাড়ি ফেরার পথে ইউপি কার্যালয়ের অদূরে চেয়ারম্যানের বাহিনী তার এবং তার লোকজনের উপর হামলা করে। এ সময় তিনি এবং তার ভাইপো মশিউর রহমান জুয়েল পাঠান আহত হন। এ ব্যাপারে তিনি রোববার রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।