প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, নারী ক্ষমতায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদান অনস্বীকার্য। শেখ হাসিনার সরকার নারীদের যথার্থ মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সবধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
৮ অক্টোবর রোববার বিকেলে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বিভিন্ন নারী সংগঠনের উদ্যোগে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য অবদানের জন্যে বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব, সুদূরপ্রসারী চিন্তা ও প্রজ্ঞার ফসল নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতির জন্যেই অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে অভাবনীয় আর্থিক সমৃদ্ধি, উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। তাই বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের নারীর সাফল্য আজ অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।
তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মানবিক উন্নয়নের এক উজ্জ্বল বাতিঘর। শেখ হাসিনার মতো দূরদর্শী নেতৃত্ব আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। একজন মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সারাক্ষণ দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে চলেছেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দীন আহমেদ এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সন্তোষ দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ আখন্দ, অ্যাডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মিজি, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম মিয়াজী, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওহিদুল ইসলাম ওহিদ, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, অধ্যাপিকা তাসলিমা আকতার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপিকা খাদিজা আক্তার বকুল এবং চাঁদপুর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসমা আক্তার মনির যৌথ সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রেবেকা সুলতানা বকুল।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠন এবং বিভিন্ন নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।