ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি বলেছেন, একটি শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা সকলের কাছে নমস্য, অনুকরণীয়। আপনাদের ওপর সাংবিধানিকভাবে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা নিষ্ঠার সাথে পালন করে প্রগতিশীল ও আলোকিত সমাজ গঠনে অবদান রাখবেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতোত্তর সময়ে অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আপনাদেরকে জাতীয়করণ করেছেন। অর্থাৎ রাষ্ট্র আপনাদের দায়িত্ব নিয়েছে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদেরকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। বর্তমানে কচুয়া উপজেলায় ১৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৩শ’ শিক্ষক রয়েছে। তারা ৫ থেকে ১২ বছরের ছেলে-মেয়েদের পাঠদান করে আসছেন। তাদের মধ্য থেকে অনেকেই একসময় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি গতকাল সোমবার কচুয়া উপজেলাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

রহিমানগর বিএবি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা পরিষদের সদস্য তৌহিদুল ইসলাম খোকা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার জাবের মিয়া, কচুয়া উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সুলতানা খানম, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রহিমানগর সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক মহসিন মিয়া, নূরপুর সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক রোকসানা রহমান, তালতলী সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দীন, সহকারী শিক্ষক আব্দুল কাদের ও যুবলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম চৌধুরী।

সভায় উপস্থিত ছিলেন কচুয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্তার হোসেন সোহেল ভূঁইয়া, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সালমা সহিদ, কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মোঃ হারুনুর রশিদ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম সওদাগর, চাঁদপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান রওনক আরা রত্ন, ছাত্রলীগ নেতা মাহাবুবে রাব্বানী মানিক প্রমুখ।