শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত প্রতিবেদক ॥

ফরিদগঞ্জের চরদুঃখিয়া গ্রামে কিশোরী প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোঃ নুরুল ইসলাম বেপারী (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায় আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। সোমবার ১০ জুলাই দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এই রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নুরুল ইসলাম চরদুঃখিয়া গ্রামের দাই বাড়ির মৃত সুলতান আলী বেপারীর ছেলে।

ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী কিশোরী একই এলাকার বাসিন্দা। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট দুপুর আনুমানিক একটার দিকে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে পেয়ারা দিয়ে লোভ দেখিয়ে নির্জন ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে নূরুল ইসলাম বেপারী। বিষয়টি কিশোরীর মা আকার-ইঙ্গিতে বুঝতে পারে। কারণ এর আগেও অভিযুক্ত ব্যক্তি বিভিন্ন খাবারের জিনিস দিয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে কিশোরীর মা কাউকে কিছু বলতে পারেনি। সর্বশেষ ঘটনায় কিশোরী খুবই অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।

ঘটনার ৩ দিন পর ২০ আগস্ট কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই পুলিশ আসামী নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।

মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ নুরুল ইসলামকে। তিনি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, মামলাটি দুই বছর চলাকালীন সময়ে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামী অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় তার উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় দেন। মামলায় আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডঃ সেলিম আকবর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়