শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৩, ০০:০০

ভোটারদের কাছে চেয়ারম্যানের অসহায়ত্ব
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

শুধু ইউনিয়ন নয়, পৌরসভার ভোটাররাও আমাকে ভোট দিয়েছে। পৌরসভার প্রায় সোয়া লাখ ভোটার আমাকে ভোট দিয়েছেন। অথচ তাদের জন্য আমি কিছুই করতে পারছি না। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় পৌরসভার নাগরিকদের জন্য আমার কোনো কিছু করার ক্ষমতা নেই। উপজেলা পরিষদের আইন আমাকে সে ক্ষমতা দেয় নাই। অথচ আমি তাদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তারা আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। পৌরসভার কোনো অসহায়, দুঃস্থ, দরিদ্র নাগরিক এসে যখন আমাকে তার কোনো সহযোগিতার (সরকারি সহায়তা) কথা বলে তখন তার কাছে আমার অসহায়ত্ব প্রকাশ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না। তখন সেই পৌর নাগরিক বলেন, আপনাকে ভোট দিয়েছি, এখন কেনো আমাদের জন্য করতে পারবেন না? তার এই প্রশ্নের জবাবও তখন কিছুই দেয়ার থাকে না।

এভাবেই অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান। তিনি বিস্ময় এবং ক্ষোভের সাথে জানান, আমার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হয় ১৪টি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে। চাঁদপুর পৌরসভার ভোটার প্রায় সোয়া লাখ। তাদের ভোটে আমরা নির্বাচিত হই। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের উপর দায়িত্ব বর্তায় আমার এলাকার জনগণের কল্যাণে কাজ করা। কিন্তু বিদ্যমান আইনে পৌরসভার বাসিন্দা যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন তাদেরকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কোনো কিছুই করতে পারি না। ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা এসব কিছুই পৌর নাগরিকদের দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই। কোনো দুঃস্থ লোককে সেবা দিতে পারি না। তাদের জন্য কিছুই করার ক্ষমতা আমাদের নেই। আর এটা শুধু চাঁদপুরের জন্যই নয়, সারা বাংলাদেশের জন্যই এই আইন। তিনি সরকারের এই আইনের পরিবর্তন চান। তিনি বলেন, এই আইন পরিবর্তন হওয়া উচিত। নির্বাচনের সময় তাদের ভোট নেবো, আর ভোটের পর তাদের জন্য কিছুই করতে পারবো না, এটা ভোটারদের সাথে প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, নিয়মটা এমন করতে হবে- পৌরসভার বাসিন্দা বা ভোটার উপজেলায় নির্বাচন করতে পারবে না। উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হলে ইউনিয়নের ভোটার হতে হবে। ভোটও দিবে শুধু ইউনিয়নের ভোটাররা। আর যদি পৌরসভার ভোটারদেরও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট দেয়ার অধিকার দেয়া হয়, তাহলে পৌর নাগরিকদের কল্যাণেও কাজ করার ক্ষমতা উপজেলা পরিষদকে দিতে হবে।

তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় এভাবেই স্থানীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানের আইনের বৈপরীত্যের কথা তুলে ধরেন। চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ বেলায়েত হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হেদায়েত উল্লাহ, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুর রশিদ, উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী স্নেহাল রায়, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন পাটওয়ারী, বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল্লাহ পাটওয়ারী, শাহ মাহমুদপর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান নান্টু, বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী তরপুরচণ্ডী ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম খান প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়