প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৩, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নাওপুরা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া (৮০) ও তার প্রবাসে থাকা ৪ পুত্রকে জড়িয়ে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গেলে বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম জানান, একই গ্রামের পাশাপাশি আবুল বাসার পাটওয়ারী, আমার ক্রয়কৃত দলিল মূলে ৬ শতক ভূমি ভোগ দখলের মধ্যে গাছ-গাছালী লাগিয়ে দেখাশুনা করে আসছি। প্রথমে আবুল বাসার আমার বিরুদ্ধে এ ভূমির উপর একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা করলে আদালত তার মামলাটি খারিজ করে দেয়। এরপরও আবুল বাসার আরেকটি হয়রানিমূলক মামলা করে। তাও আদালত খারিজ করে দিয়ে আমাদের পক্ষে রায় দেয়।
আমাকে হয়রানি করার লক্ষ্যে সে গত ৮ মে তারিখে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ আইনে প্রাবাসে থাকা আমার পুত্রদের জড়িয়ে মামলা দায়েরের মাধ্যমে আবারো হয়রানি করে আসছে। যার মামলা নং-৫৫৬/২০২৩। আমার ৪ পুত্রের মধ্যে মহিনউদ্দিন, আরিফ হোসেন ও সোহেল প্রায় ৩ বছর প্রবাসে রয়েছে এবং শরিফ হোসেন সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে আসে। অথচ প্রবাসে থাকা ৩জনসহ আমার ৪ পুত্রকে জড়িয়ে একের পর এক হয়রানিমূলক মামলা দিয়ে আসছে। প্রবাসে থাকা ছেলেদের জড়িয়ে মামলা করায় স্থানীয়রাও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
আবুল বাসার পাটওয়ারীর বক্তব্য নিতে গেলে তিনি জানান, গত ৩০/৩২ বছর হয় আমি জায়গা কিনে এ জায়গা ভোগদখল করে আসছি। এরা কয়েকদিন পর পর এসে আমার সাথে ঝামেলা করে, তাই মামলা দিয়েছি।
হয়রানিমূলক মামলা থেকে পরিত্রাণ পেতে মহামান্য আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রার্থনা জানিয়েছেন বৃদ্ধ নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা।