চাঁদপুরের বর্ষীয়ান লেখক, কবি ও গল্পকার এবং চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি তছলিম হোসেন হাওলাদার (৬৫) আকস্মিক মৃত্যুর কবলে পড়ে অকালে হারিয়ে গেলেন। গতকাল ১৫ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে চাঁদপুরের সাহিত্য অঙ্গনসহ পরিচিত সকল মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। জানাজার পর তাঁকে গ্রামের বাড়ি হাইমচরের গ-ামারায় দাফন করা হবে বলে পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

কবি ও সংগঠক তছলিম হোসেন হাওলাদারের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। এছাড়াও গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবার, চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদ, সাহিত্য মঞ্চ, দৈনিক আদি বাংলা, দৈনিক শপথ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ, চাঁদপুর লেখক পরিষদ, চর্যাপদ একাডেমি, চাঁদমুখ, সামাজিক সংগঠন আপন, সেন্টার ফর হিস্ট্রি এন্ড কালচারাল রিসার্চ, বাংলাদেশ রাইটার্স ফোরাম, বাংলায়ন সভা পরিবারসহ চাঁদপুরের শিল্প-সাহিত্য অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ। শোক বার্তায় তাঁরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, তছলিম হোসেন হাওলাদার আশির দশক থেকে সাহিত্য চর্চা শুরু করেন। তিনি একজন সুলেখক হিসেবে স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যারে পরিচিত ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : মাঠের যোদ্ধা চাই, কহর দরিয়ার পানি, কখনও শাশ্বত, মুক্তির মিছিলে আমিও ছিলাম এবং স্মৃতির অন্তরালে। এছাড়াও তিনি সম্পাদনা করেছেন ছোটকাগজ অনপেক্ষ ও মৃত্তিকা। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চাঁদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

বর্ষীয়ান লেখক তছলিম হোসেন হাওলাদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি এক শোকবার্তায় বলেন, তছলিম হোসেন হাওলাদার চাঁদপুরের সাহিত্য অঙ্গনে একজন আলোকিত মানুষ ছিলেন। তাঁর দ্বারা চাঁদপুরের সাহিত্য অঙ্গন অনেক সমৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি একজন বোদ্ধা লেখক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে চাঁদপুর একজন ভালো লেখক, কবি ও সাহিত্যপ্রেমীকে হারালো।