প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৩, ০০:০০
![চাঁদপুরে লঞ্চের যাত্রী কমেছে](/assets/news_photos/2023/05/13/image-32915.jpg)
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঝড়ের আতঙ্কে ইতিমধ্যে চাঁদপুরে লঞ্চযাত্রী কমতে শুরু করেছে। এতে গতকাল ১২ শুক্রবার সকাল থেকে প্রায় প্রতিটি লঞ্চই নির্দিষ্ট আসনের চেয়ে অনেক কম যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ছে।
গতকাল সকাল পৌনে নয়টার দিকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর থেকে ঢাকামুখী সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী লঞ্চ ঈগল-৩ দাঁড়িয়ে আছে। তবে লঞ্চে যাত্রী একেবারেই কম। লঞ্চের বেশিরভাগ আসনই খালি পড়ে আছে।
জাহাজের সুপারভাইজার আলী আজগর বলেন, প্রতিটি লঞ্চ নির্দিষ্ট আসনের প্রায় সমান যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন ঘাট ত্যাগ করে। বিশেষ করে শুক্রবার যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে। তবে আজ প্রায় অর্ধেক যাত্রী নেই। ঈগল-৩ ছাড়াও সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া রফরফ, সোনার তরীসহ অন্য লঞ্চেও যাত্রী কম ছিল।
ঢাকাগামী যাত্রী সেলিম আকবর বলেন, তিনি তাঁর বোনকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। ঘূর্ণিঝড় মোখার বিষয়টি তিনিও জানেন। তবে তিনি এখনো ভয়ের কিছু দেখছেন না বলে জানান।
বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক আবদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আসার খবরে লঞ্চের যাত্রী কিছুটা কমেছে। তবে যাত্রীদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় চাঁদপুরের নদী উপকূলীয় এলাকায় সবাইকে সতর্ক করতে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের চাঁদপুর উত্তর স্টেশনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মাইকিং করা হয়েছে। বিকেলে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে ভার্চুয়ালি প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানান।