শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১২ মে ২০২৩, ০০:০০

এক মাস সৌদি হিমাগারে হাজীগঞ্জের যুবকের লাশ
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

নিজ দেশের ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ার কারণে প্রায় এক মাস ধরে সৌদি আরবের হিমাগারে পড়ে আছে হাজীগঞ্জের যুবক মোরশেদ হোসেন (৩৫)-এর লাশ। এমনকি বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে দূতাবাসের সামনে দালালের কারণে বাড়িতে ফিরতে হয়েছে-এমনটাই দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা। নিহত মোরশেদ উপজেলার ৬নং বড়কূল পূর্ব ইউনিয়নের দিগচাইল বেপারী বাড়ির মৃত লোকমান হোসেনের ছেলে।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ২৩ রমজান ১৫ এপ্রিল শনিবার সৌদি আরবের নাজরান এলাকায় মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোরশেদ আলমের মৃত্যু হয়। সেই থেকে তার স্ত্রী ও চার সন্তানসহ স্বজনদের আহাজারি থামছে না। মোরশেদের লাশ দেশে আনতে তারা ইতিপূর্বে কয়েকবার বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে গিয়ে দালাল চক্রের সামনে পড়ে মোটা অংকের টাকা দাবির মুখে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসেন। লাশ দেশে আনতে সহযোগিতা পাওয়ার মতো যেন কাউকে খুঁজে পাচ্ছে না তারা।

এদিকে মোরশেদের সেখানকার ফোরম্যান কুমিল্লার সুমন সৌদি আরবের সকল কাগজপত্র ঠিক করে রাখলেও বাংলাদেশ থেকে কোনো ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় লাশ হস্তান্তর হচ্ছে না বলে জানান।

মোরশেদ আলমের ভাই আঃ সামাদ বলেন, আমার ভাই প্রায় ৭ বছর আগে সৌদিতে যায়। গত ২৩ এপ্রিল শুনেছি সড়ক দুর্ঘটনায় সে মারা গেছে। লাশ ফিরে পেতে আমার ভাতিজা এমরান হোসেনকে নিয়ে কয়েকবার ঢাকা দূতাবাসের সামনে যাই। অনেক হয়রানির পর সর্বশেষ এয়ারপোর্টে গিয়ে কাগজপত্র আংশিক ঠিক করে সৌদি দূতাবাসে কাগজপত্র জমা দেই। কিন্তু পরবর্তীতে কী হবে তা আমাদের কিছুই বলেনি। আমরা নিহত মোরশেদ আলমের লাশ ফিরে পেতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, নিহতের পরিবার আমার কাছে যেভাবে সহযোগিতা চেয়েছেন আমি চেষ্টা করেছি সেভাবে সহযোগিতা করে যেতে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়