শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১২ মে ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্মপরিধি বাড়লেও নার্সিং ব্যবস্থাপনা বাড়েনি
মির্জা জাকির ॥

আজ বিশ্ব নার্স দিবস। আধুনিক নার্সিং পেশার রূপকার ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ১২ মে এই দিবসটি উদযাপন করা হয়।

যে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসাসেবায় রোগীদের জন্যে নার্সদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। চাঁদপুরে সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিজ্ঞ নার্সের অভাব প্রকট। খোদ চাঁদপুর আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে নার্সের ব্যাপক সংকট। বর্তমানে এই হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন নতুন বিভাগ ও ওয়ার্ড চালু হয়েছে। কিন্তু নার্সের সংখ্যা খুব বাড়নি। বরং ডেপুটেশনে নতুবা ট্রেনিংসহ নানা ছুটিতে রয়েছেন বেশ ক’জন নার্স। যে কারণে এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে অন্য নার্স ও চিকিৎসকদের গলদঘর্ম অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান এই হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান। বর্তমানে এই হাসপাতালে অস্বাভাবিক রোগীর চাপ, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা সব মিলিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র নার্স মিলে রয়েছেন মাত্র একশ’ আটত্রিশ জন। যা খুবই অপ্রতুল। এই হাসপাতালের নার্স সংকটের মাঝেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বর্তমানে কর্মরত নার্সবৃন্দ। তাদের মধ্যে তিনজনকে নিয়ে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদন।

এই হাসপাতালের সিনিয়র নার্স জয়শ্রী বালা দাস, জরিনা বেগম ও মিথুন আহমেদ নাহা। এরা তিনজনেই এ হাসপাতালে কর্মগুণে বেশ প্রশংসিত।

জয়শ্রী বালা দাস একসময় এই হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের ইনচার্জ ছিলেন। ১০ বছর ধরে এখনো আছেন ওই বিভাগে। অনেক মায়ের যখন বাড়িতে নরমাল ডেলিভারি করা সম্ভব হয় না, গর্ভের আগত সন্তান নিয়ে অত্যন্ত বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় এখানে আসেন, তখন সে ধরনের ডেলিভারির কাজটি সফলভাবে করে তিনি বেশ প্রশংসিত হয়ে আছেন। এ ধরনের প্রায় ৩০টির বেশি তাৎক্ষণিক ডেলিভারি তিনি করেছেন বলে জানান। করোনাকালে শতভাগ প্রোটেকশন নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। একজন মানবিক সেবিকা হিসেবে জয়শ্রীর রয়েছে বেশ সুখ্যাতি।

অপরদিকে জরায়ু ক্যান্সার পরীক্ষা ও সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে সুনামের রেকর্ড করেছেন জরিনা বেগম। দশ বছর ধরে চাঁদপুর আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সেবা দিয়ে আসছেন। প্রতি মাসে প্রায় ৩০০টির বেশি জরায়ু মুখে ক্যান্সার-ভায়া পরীক্ষা করেন। শুধু তা-ই নয়, ডেলিভারি-পূর্ব এ ধরনের রোগ নির্ণয়ের কাজটি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে করে আসছেন এই সেবিকা। তিনি জানান, মায়েদের কিংবা নারীদের জটিল এসব পরীক্ষার কাজগুলো অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে করতে হয়।

মিথুন আহমেদ নাহা সিনিয়র নার্স হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে এ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছেন। একটু ভিন্ন টাইপের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ করে মা ও নবজাতক সেবার কাজ করছেন তিনি। কম ওজনের জন্ম নেয়া শিশুর পরিচর্যার কাজটি করেন এ সেবিকা। সেবার কাজটি করতে গিয়ে ২০২০ সালে করোনার লক্ষ্মণ নিয়ে ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অক্সিজেন কমে গিয়ে শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণায় কাটিয়েছেন। বর্তমানে এই হাসপাতালের ক্যাঙ্গারু বিভাগে ক্রিটিক্যাল পর্যায়ের নবজাতকদের সেবার কাজ করছেন তিনি। তার কাজের ধরণ, প্রকৃতি ও নবজাতকের সেবা শুশ্রƒষার জন্যে ইতোমধ্যে এই হাসপাতালে মা ও নবজাতক ওয়ার্ডে একজন অভিজ্ঞ সেবিকা হিসেবে বেশ পরিচিতি অর্জন করেছেন এ সেবিকা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়