শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও শাহরাস্তি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা

জাতির পিতার বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতির পিতার বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২২ মার্চ বুধবার সকালে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে ৩৯,৩৬৫ পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এরই অংশ হিসেবে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর ও শাহরাস্তি উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং উপযুক্ত কার্যক্রমে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমানসহ জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অংশীজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের আগে গৃহহীনদের হাতে বিনামূল্যে আরো ৩৯,৩৬৫টি আধাপাকা বাড়ি হস্তান্তর করার পাশাপাশি সারাদেশে আরও ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন।

তিনি বুধবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে বাড়ি হস্তান্তরের সময় বলেন, আমি আরও সাতটি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা এই সাত জেলার সব উপজেলাসহ ১৫৯টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।

এর আগে তিনি পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। তিনি মোট নয়টি জেলা এবং ২১১টি উপজেলা গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ভূমিহীনদের ঘর দেয়ার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তিনি বলেন, জাতির পিতা দেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত করে বাংলাদেশের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে একটি উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন দিতে চেয়েছিলেন। যার জন্য তাঁর সরকার অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

সরকার প্রধান কোনো জেলায় কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন রয়েছে কিনা তা জানতে তালিকা তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রত্যেক ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা তাঁর সরকারের লক্ষ্য হওয়ায় তিনি প্রত্যেককে বাড়ি দেবেন। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই প্রতিটি মানুষ বাড়ি, আশ্রয় এবং জীবিকার সুযোগ পাবে। তারা আর সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। আমরা চাই প্রত্যেকে নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং যথাযথ সম্মানের সাথে বসবাস করবে।

প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না বলে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন।

বঙ্গবন্ধুর পদচিহ্ন অনুসরণ করে তিনি বলেন, তাঁর সরকার ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়িঘর ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি বাড়ি হস্তান্তর করেন।

আজকে আরও ৩৯,৩৬৫টি ঘর বিতরণের সাথে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে মোট গৃহ বিতরণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,১৫,৮২৭ টি।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭,৭১,৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮,৫৬,৫০৫ (আনুমানিক একটি পরিবারে পাঁচজন হিসাবে)। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া। অনুষ্ঠানে বাড়ি প্রাপ্তদের পরিবর্তিত জীবনযাত্রার উপর একটি ভিডিও-প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়