প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন চাঁদপুর পৌরসভা পরিদর্শন করেছেন। তিনি চাঁদপুরে সরকারি সফরে এসে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর পরিদর্শনের পাশাপাশি পৌরসভাও পরিদর্শন করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি পৌর ভবনে এসে মেয়র, কাউন্সিলর এবং পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তাগণও ছিলেন। বিভাগীয় কমিশনার পৌরসভায় আসলে তাঁকে মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
চাঁদপুর পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বর্তমানে এই পৌরসভার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি তাঁর আলোচনায় মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের সময় পৌরসভার অবস্থান কোথায় ছিল, আর এই দু বছরে সে অবস্থান থেকে কোথায় নিয়ে আসা হয়েছে তা তুলে ধরেন। পৌরসভার কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশনে নিয়ে আসা, পৌরসভার সকল বিদ্যুৎ মিটার প্রিপেইড মিটারের আওতায় নিয়ে আসা, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ হালনাগাদ বেতন চলমান রাখা, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা, সকল অটোবাইক ডিজিটাল নম্বর প্লেটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে আসা, সকল কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা, নাগরিক সেবা প্রদানে হয়রানি বন্ধ করা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে দ্রুত নাগরিক সেবা প্রদানসহ অন্যান্য অগ্রগতির তথ্য মেয়র তাঁর আলোচনায় তুলে ধরেন।
মেয়র বিভাগীয় কমিশনারের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা এখনো বড় কোনো প্রজেক্টের আওতায় আসতে পারি নি। সে জন্যে বড় বড় উন্নয়ন কাজগুলো করতে পারি নি। তারপরও আমরা নিজস্ব আয় থেকে প্রচুর ডেভলপমেন্ট কাজ করছি এবং করে যাচ্ছি। তিনি তাঁর বর্তমান পরিষদ এবং পৌরসভার স্টাফদের এসব ক্ষেত্রে আন্তরিক সহযোগিতার কথাও বলেন। মেয়রের আলোচনা ছাড়াও পৌরসভার বিভিন্ন শাখা প্রধানগণ তাঁদের নিজ নিজ শাখার কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
সবকিছু শুনে এবং বাস্তব কিছু বিষয় দেখে বিভাগীয় কমিশনার খুবই সন্তোষ প্রকাশ করেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার বিষয়েও তিনি বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি কিছু কিছু দপ্তরের ইনোভেশন এবং ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম দেখে এতোটাই প্রশংসা করেন যে, দেশের অন্যান্য পৌরসভার জন্যে এসব অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, হোল্ডিং টেক্স পৌরসভার প্রধানতম একটি আয়ের খাত। তাই টেক্সের যথাযথ আদায় নিশ্চিত করতে হবে। আর সরকারেরও একটা ম্যাসেজ হচ্ছে পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় বাড়তে হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, চাঁদপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম শামসুদ্দোহাসহ বিভিন্ন শাখা প্রধান এবং প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরগণ।