পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। আমাদের সন্তানদের কর্মমুখী করে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় নারীর ক্ষমতায়নের পথ সুগম হয়েছে। যার কারণে আমাদের নারী নেতৃত্ব আজ বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত। নারীরা হয়েছে স্বাবলম্বী, বেড়েছে তাদের কর্মসংস্থান। আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৩ বছরে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। আজ জনশক্তি রপ্তানি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সফল বাংলাদেশ।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাসহ সকল দিক আমাদের জন্যে অনুসরণীয়। তিনি আমাদের আদর্শ পুরুষ ও ধ্রুবতারা। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের পথিকৃৎ।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সংযোগ থাকতে হবে শিক্ষকদের সাথে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কাছে মডেল হতে হবে। যাতে শিক্ষকের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী উন্নত স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। আমি বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করছি। আর এলাকার রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণে আমি বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা করবো। অভিভাবকদের বলবো, আপনারা ছেলেমেয়েদের খাবারের দিকে নজর দিবেন। বেশি করে শাকসবজি ও দুধ-ডিম খেতে দিবেন। তাহলে তারা মেধা বিকাশ নিয়ে গড়ে উঠবে।

গত ৩ জুন শুক্রবার সকালে মতলব দক্ষিণ উপজেলার কাশীমপুর পূরণ উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিল্লাল হোসেন প্রধানের সভাপ্রধানে ও সহকারী শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল। তিনি বলেন, আমি নির্বাচনের আগে আপনাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম নির্বাচিত হলে কোনো চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী থাকবে না। আমি চিহ্নিত চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ীদের কোনো সুযোগ-সুবিধা দেইনি। আগে যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে তাদের কোনো জায়গা আমার কাছে নেই। এছাড়া শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়ন ও গ্রামীণ সড়ক সংস্কার এবং নতুনভাবে নির্মাণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। ঠিকাদারগণ রাস্তায় কোনো রকম দুই নম্বর ইটসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করবেন না। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে শিক্ষক অভিভাবক সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন প্রধান, এএসপি ইয়াসির আরাফাত, ভাইস চেয়ারম্যান মুবিন সুজন প্রমুখ। পরে প্রধান অতিথি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।