প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২১, ০০:০০
‘আর ছাড় দেয়ার সময় নেই। প্রশাসনকে কঠোর হতেই হবে। জেলার সমস্ত প্রবেশ পথে কড়া পাহাড়ায় থাকতে হবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। শুধু জেলার প্রবেশপথই নয় অধিক সংক্রমিত উপজেলার মানুষ যেন কম সংক্রমিত উপজেলায় যেতে না পারে সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। ২৩ তারিখ থেকে লকডাউন মানে লকডাউন। পুরোপুরি লক করে দিতে হবে অধিক সংক্রমিত উপজেলা। ২৩ তারিখ থেকেও যদি জেলা প্রশাসন কঠোর না হয় তবে কঠিন দুর্দিন অপেক্ষা করছে চাঁদপুরবাসীর জন্য। দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের বিশেষ সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেন চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য নূরুল আমিন রুহুল।
চাঁদপুরের করোনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় কী প্রশ্ন করতেই সাংসদ বলেন, চাঁদপুর সীমান্তবর্তী অঞ্চল নয়, তবুও আমাদের জেলায় সংক্রমণের হার বাড়ছে বিষয়টি যেমনটা উদ্বেগের, তেমনি ভাবনারও। অন্যান্য সীমান্তবর্তী জেলা থেকে আমাদের চাঁদপুরে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ইতোমধ্যে প্রবেশ করেছে। মিডিয়ায় দেখলাম চট্টগ্রামে কোভিড পজিটিভ শিশুদের মধ্যে শতভাগই ডেল্টা ভেরিয়েন্ট। চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর বেশি দূরে নয়। লকডাউনের স্থিতিশীলতার সুযোগে চট্টগ্রাম থেকে অনেকেই ইতোমধ্যে ট্রেনযোগে চাঁদপুরে প্রবেশ করেছেন। প্রশাসন কঠোর না হলে ইলিশের শহরেও লাশের গন্ধ ভেসে বেড়াবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরামর্শ মতে ২৩ তারিখ থেকে যা যা করণীয় তার সবটাই করতে হবে।
চাঁদপুরের স্বাস্থ্যবিভাগের পদক্ষেপ সন্তোষজনক কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাঁদপুর সিভিল সার্জনসহ চিকিৎসকরা যথেষ্ট পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারও আন্তরিক। সকলেই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে বিচ্ছিন্নভাবে এ যুদ্ধে সফল হওয়া যাবে না। জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও গণমাধ্যম এই পাঁচটি সেক্টর একযোগে কাজ করতে হবে। তবেই সুফল মিলবে।
আপনার নির্বাচনী এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলবেন কি-না জানতে চাইলে নূরুল আমিন রুহুল বলেন, চারদিন আগেও আমি এলাকায় ছিলাম। সেখানকার উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সাংবাদিক ভাইদের কথা বলেছি। মতলবের মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ২৩ তারিখ থেকে মতলবের করোনা নিয়ন্ত্রণে পৃথক পরিকল্পনা রয়েছে।
‘যারা এখনো স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন কী’ এমন প্রশ্নে নূরুল আমিন রুহুল বলেন, আমি শুধু একটি কথাই বলবো, যার চলে যায় সে বুঝে কী হারালো। যারা এখনো সুস্থ আছেন। যাদের পরিবারের কাউকে এখনো মৃত্যুর সাথে সংগ্রাম করতে হয়নি তাদের বলবো, করোনায় প্রাণ হারিয়েছে এমন একটি পরিবারের দিকে তাকান। তাদের থেকে শিক্ষা নিন। যদি সেই পরিবারটির মত দুর্যোগ আপনার পরিবারে নেমে আসে তবে কী করে সহ্য হবে? তাই পরিবারের সদস্য কাউকে হারাতে না চাইলে, নিজেকে নিজে হারাতে না চাইলে মাস্ক পরুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা মেনে চলুন। যতটুকু সম্ভব ঘরে থাকুন। আমাদের সকলের প্রচেষ্টাতেই ভালো থাকবে আগামীর চাঁদপুর।