বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০২১, ০০:০০

করোনাকে জয় করার এক সাহসী যোদ্ধা ইপিআই স্টোরকিপার সবুজ
মিজানুর রহমান ॥

এক বছর চার মাসেরও বেশি সময় করোনার ভয়াবহতা চলছে সারাবিশে^। যেহেতু করোনা সম্পূর্ণ একটি নতুন রোগ, তাই শুরুতে এর চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে বিজ্ঞানী, চিকিৎসক এবং জনগণের মাঝে ভয়-ভীতি ছিল। এমনকি চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও কিন্তু আতঙ্কগ্রস্ত ছিলেন। কারণ, এর উৎপত্তি, জটিলতা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা কোনো কিছুই কারও জানা ছিলো না।

পরবর্তীতে দেখা গেল করোনা মাহামারিতে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা ছিলেন প্রথম সারির যোদ্ধা। তারা সব ভয় জয় করে জীবনবাজি রেখে করোনা শনাক্তের স্যাম্পল সংগ্রহ ও আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে। এরা করোনাকালের পুরো সময় অভাবনীয় সেবা দিয়েছেন এবং দিয়ে চলেছেন। এমন একজন সাহসী করোনাযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম সবুজ। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই ভবনের স্টোরকিপার তিনি। তার পদই বলে দিচ্ছে তাকে কতটা ব্যস্ত থাকতে হয়। বিশেষ করে বর্তমান করোনাকালীন সময়ে স্যাম্পল সংগ্রহসহ করোনার টিকা সংরক্ষণ, এসব কর্মযজ্ঞে সবুজের পারদর্শিতা প্রশংসিত। সব ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে তিনি তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি করোনাকে জয় করেছেন।

সবুজ জানালেন, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া করোনার এই যে ভয়াবহতা, তা থেকে যে অভিজ্ঞতা কোনোদিন ভুলা যাবে না। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে গতবছর টানা ৪/৫ মাস অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে তিনি করোনার স্যাম্পল নেয়ার কাজ করেছেন। তখন তিনি নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। হোমকোয়ারেন্টাইনে থেকেও প্রতিদিন অসংখ্য কল রিসিভ করতে হতো তাকে। পিপিই পরে কাজ চালিয়ে যেতেন। সুস্থ হয়ে আবারও ফিরেন কর্মস্থলে।

এখনো প্রায়দিন রাত ১০টায় বাড়ি ফেরা হয় তার। কখনো কখনো রাত ১২টা বাজে। বর্তমানে ভ্যাকসিন দেয়া-নেয়া ও রিপোর্ট করা তার দায়িত্ব।

সবুজ বলেন, মানুষের সেবা করতে পারতেছি, এটি তার কাছে ভালো লাগে।

তার সাহসী এই মানবিক কাজের জন্যে তিনি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও এবং করোনা বিষয়ক ফোকালপার্সন ডাঃ এএইচএম সুজাউদ্দৌলা রুবেল, স্বাস্থ্য বিভাগের সালমা ও বাবুল দার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সবুজ বলেন, সিভিল সার্জন স্যার তাঁদেরকে ছায়া দিয়ে রেখেছেন। পুরো স্বাস্থ্য বিভাগে যারাই আছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বিশেষ করে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি তার এই কাজের জন্য কৃতজ্ঞ।

দেশের এই সংকটময় সময়ে বিভিন্ন রকম মানবিক কাজ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন টিকা বিভাগের এই সবুজ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়