প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২২, ০০:০০
হাজীগঞ্জে অবৈধ গার্ভপাতকৃত এক শিশুর (৬ মাস) লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যার পরে পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডস্থ মকিমাবাদ গাজি বাড়ি সংলগ্ন স্থানে রাখা পৌরসভার ময়লা ফেলার ভ্যানগাড়িতে থাকা বালতি থেকে লাশটি উদ্ধার করে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। একইদিন বিকেলে গর্ভপাতের ঘটনাটি ঘটানো হয় মকিমাবাদ এলাকায়। এ ঘটনায় কথিত ধর্ষণকারী নানা সিরাজুল ইসলাম (৫৫)কে আটক করা হয়েছে। একই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে সিরাজুল ইসলামের মেয়ে, পুত্রবধূসহ এক আয়াকে থানায় আনা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আটককৃত কথিত ধর্ষণকারী নানা সিরাজুল ইসলাম হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডস্থ মকিমাবাদ গ্রামের দাই বাড়ির বাসিন্দা। তিনি হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের হাড়িয়াইন আড়ং বাজার সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করেন এবং সেখানেই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এই গর্ভপাত করানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, গর্ভপাতের ফলে ছেলে শিশুটি মারা গেলে কাপড় মুড়িয়ে বালতিতে করে ময়লার গাড়িতে ফেলে রাখা হয়।
এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দের নেতৃত্বে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মহসিন ও মোঃ ইব্রাহিম উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়ন থেকে কথিত নানা, তার মেয়ে, পুত্রবধূ ও গর্ভপাত করানো আয়াসহ জড়িতদের থানায় নিয়ে আসেন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সবাইকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, এ ঘটনায় একটি ময়লার গাড়ি, বালতি জব্দ করা হয়েছে। গর্ভপাতকৃত শিশুর মরদেহ উদ্ধার ও ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজুল ইসলামসহ অবৈধ গর্ভপাতের অভিযোগে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।