প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর চরবড়ালী মহব্বত আলী পাটওয়ারী বাড়ি সংলগ্ন পোয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অকেজো অবস্থায় রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। ক’টি গ্রামের মানুষের যাতায়তের সুবিধার্থে সেতুটি নির্মাণ করলেও তা কাজে আসছে না। সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের মাটি না দেয়ায় যান চলাচলসহ ৩ বছর ধরে সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন উত্তর চরবড়ালী ও দক্ষিণ চরবড়ালী সংলগ্ন ক’টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৭৫৩ টাকা ব্যয়ে চরবড়ালী-রামপুর সড়কের চরপোয়া খালের উপর সেতুটি নির্মিত হয়। সেতুটি নির্মাণের ৩ বছর পার হয়ে গেলেও দুই পাশের অ্যাপ্রোচে মাটি দেননি ঠিকাদার, জনপ্রতিনিধিসহ কর্তৃপক্ষ।
উত্তর চরবড়ালী গ্রামের বাসিন্দা রিকন মিয়া, টিটু, জাহাঙ্গীর, ফয়সালসহ অনেকেই জানান, অল্প কিছু বালি দিয়েই দায় সেরেছে ঠিকাদার। ফলে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও সেতুটি আমাদের কোনো কাজে আসছে না। দ্রুত সেতুটির অ্যাপ্রোচে মাটি দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দিতে দাবি জানান তারা।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসইউ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন জানান, অ্যাপ্রোচের মাটি দেয়া হয়েছে। হয়তো মাটি এখন সরে গেছে। আমি কয়েকদিনের মধ্যে গিয়ে সেতুটি দেখবো।
ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন রিপন জানান, সড়কটি আমার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের একমাত্র সড়ক। এই সড়কটির উত্তর চরবড়ালী পোয়া খালের ওপর সেতুটির অ্যাপ্রোচে মাটি না থাকায় অকেজো হয়েছে। লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে সেতুটির অ্যাপ্রোচে মাটি দিয়ে কিছুদিনের মধ্যে ভরাট করে দেবো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিল্টন দস্তিদার জানান, তিন বছর পূর্বে পোয়া খালের ওপর সেতুটি করা হয়েছে। হয়তো দুই পাশে অ্যাপ্রোচের মাটি সরে গেছে। আমি এক সপ্তাহের মধ্যে মাটি দিয়ে ভরাট করার ব্যবস্থা করবো।