প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
জাটকা নিধন প্রতিরোধে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, জনপ্রতিনিধি নৌ-পুলিশ ও জেলে প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় কাজ করতে হবে। ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। বিশেষ করে এক্ষেত্রে নদী তীরবর্তী জনপ্রতিনিধিদের একটি বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। আশা করি জাতীয় সম্পদ রক্ষায় তারা আন্তরিক হয়ে কাজ করবেন। গতবার আমাদের জেলেদের চাল কম বরাদ্দ এসেছিলো, এবার কিন্তু আমাদের চাল নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কাজেই এবার ৪০ কেজি করে জেলেদেরকে চাল দেয়া হবে। আর চাল বিতরণে যদি কোনো অনিয়ম হয়, তাহলে সেই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, জাটকা রক্ষায় আগামী দুই মাস নদীতে ড্রেজার বন্ধ থাকবে। প্রতিটি নৌকা উপরে উঠিয়ে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে এবং ইঞ্জিনচালিত যেসব নৌকা রয়েছে সেগুলো থেকে ইঞ্জিন খুলে ফেলতে হবে। আর এসবের দায়িত্বে থাকবেন ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌরসভা হলে সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
গতবারের মতো এবারও যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। নদীপথে যাতে কোনো স্পীডবোট চলতে না পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অভিযান শুরুর আগেই উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা শেষ করতে হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মেহেদী হাসানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, নৌ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মিল্টন কবির, সদর ইউএনও সানজিদা শাহনাজ, মতলব দক্ষিণ ইউএনও ফাহমিদা হক, হাইমচর উপজেলা ইউএনও চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান, কান্ট্রি ফিসিং বোর্ড মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিক, চাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি তসলিম বেপারী, সাংবাদিক ইব্রাহিম খান, সদর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি শফিক বেপারী ও মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ওমর প্রধানিয়া। এছাড়া এদিন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, অভিযান সফল করতে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রচার-প্রচারণা। প্রয়োজনে ছোট ছোট গল্প নাটিকা তৈরি করে প্রচার করতে হবে। স্থানীয় পত্রিকার মাধ্যমে প্রচারণা করতে হবে। বিশেষ করে জেলেদের পেছনে যারা রয়েছে তাদেরকেও নজরধারিতে রাখতে হবে। বরফ যাতে অসাধু জেলের কাছে পৌঁছতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। শুধু পুকুরের মাছের জন্যে একটি বরফ কল ব্যতীত বাকি বরফকল বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, জুমার পাক আলোচনায় জাটকা আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে খতিব ও ইমামদের প্রতি বক্তব্য রাখার আহ্বান জানান।