চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারি সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি বলেন, আজকে ভাষা আন্দোলনের ৭০টি বছর পার হয়েছে। আজকে আমরা কতটুকু এগিয়েছি বাংলা ভাষায় তা আমাদের ভেবে দেখতে হবে। তবে আমাদের অনেক প্রাপ্তি রয়েছে। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি।

জেলা প্রশাসক বলেন, পরিকল্পনা করে আমাদের ঘটতি পূরণ করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় সকল স্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন করতে পারছি না। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো বাংলা ভাষার চর্চা করা হয় না। এছাড়াও অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে শিশুদের জানানো হয় না। এগুলোর দিকে আমাদের নজর রাখা উচিত এবং বাংলা ভাষাসহ দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য বিকৃতকারীদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমাদের শিশুদের বিনোদনের মাধ্যমে বাংলা চর্চায় অভ্যস্ত করা যেতে পারে। আমাদের দেশে শিশুদের বাংলায় বিনোদনের ব্যবস্থা তেমন নেই। ‘মীনা’ কাটুর্নের মতো আরো সুস্থ বিনোদন আমাদের শিশুদের দিতে হবে। আমাদেরকে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী করে দিতে হবে। বাঙালি সংস্কৃতি খুব সুস্থ ও সবল সংস্কৃতি। সম্মিলিতভাবে আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করতে পারবো।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, বিশিষ্ট ছড়াকার ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় এবং আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।