প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
সরকার সারাদেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বসতঘর নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে অনুযায়ী অসচ্ছল পরিবারগুলোকে ঘর প্রদানের জন্যে উপজেলা পর্যায়ে কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধার ‘বীর নিবাসে’র কাজ বর্তমানে চলমান রয়েছে। ফরিদগঞ্জের আছৎকুয়ারী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন জীবিত থাকাকালে একটি ঘরের জন্যে আবেদন করলেও বরাদ্দ পান নি। ইতোমধ্যেই তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম স্বামীর ঘরের স্বপ্নের বাস্তব রূপ দেখে যেতে চান।
জানা গেছে, পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের আছৎকুয়ারী গ্রামের মিজি বাড়ির মৃত আবদুর রহমানের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বিগত ২০১৭ সালে মারা যান। মৃত্যুর পূর্বে তিনি সংসারের তাগিদে বসত ঘরের জমি ছাড়া সকল সম্পত্তি বিক্রয় করে দিতে বাধ্য হন। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী রোকেয়া বেগম স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেলেও দিনমজুর তিন সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
রোকেয়া বেগম জানান, তার ভিটে জমি থাকলেও বসবাসের জন্য ভালো কোনো ঘর করতে পারছেন না। ৫ ছেলের মধ্যে দুই ছেলে চাকুরি করার বদৌলতে নিজেরা কর্মস্থলে থাকছে। আর তাদের খোঁজ-খবর নিচ্ছে না। বাকি ৩ ছেলের অবস্থা তথৈবচ। তার স্বামী জীবিত থাকাকালে ‘বীর নিবাসে’র জন্য আবেদন করে ঘর না পেলেও চলতি বছর পুনরায় আবেদন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী জীবদশায় চেয়েছিলেন সরকার থেকে ঘর পেয়ে নিজে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আশ্রয় পাবেন। কিন্তু অদ্যাবধি তা পূরণ হলো না। আমার স্বামীর শেষ ইচ্ছাটুকু পূরণের জন্য সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। যাতে করে আমাদের একটি ঘর প্রদান করে।