প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুরেও হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। প্রতিদিন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যাদের মধ্যে চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের ৫২ শিক্ষার্থী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, শীর্ষ জনপ্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন দুজন কর্মকর্তাও রয়েছেন। সর্বশেষ গতকাল ১৯ জানুয়ারি বুধবার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে রেপিড এন্টিজেন টেস্ট ও ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ আরটি পিসিআর ল্যাবে ২৩০ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয় ৫৯ জনের। যা নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ২৫.৬৫ শতাংশ। আগেরদিন মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ৩৫২ জনের। এর মধ্যে শনাক্ত হয় অর্থাৎ পজিটিভ রিপোর্ট আসে ৮৭ জনের। একদিনের ব্যবধানে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২৫.৬৫ শতাংশে।
এদিকে ২৫০ শয্যার চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি রয়েছে ২৫ জন। এর মধ্য ২ জন পজিটিভ রোগী আর ২৩ জন সাসপেক্টেড অর্থাৎ করোনার উপসর্গে আক্রান্ত। এ তথ্য নিশ্চিত করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্যে আমাদের হাসপাতাল আগের মতো পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। আগে অক্সিজেন প্লান্ট ছিলো না, এখন সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট হয়েছে। ১১৭টি অক্সিজেন লাইন দেয়া আছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এরপর আরেকটা অক্সিজেন প্লান্ট হচ্ছে। আমাদের সিলিন্ডার ক্যাপাসিটিও আগে যা ছিল তার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কাজেই আশা করছি অক্সিজেনের কোনো সমস্যা হবে না।
তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুব আরও বলেন, আমরা কোভিড ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের নিয়ে মিটিং করে প্রস্তুতি নিয়েছি কে কীভাবে কাজ করবে। যদি রোগী অনেক বেশি হয়ে যায় তখন অন্য জায়গা থেকে ডাক্তার চাইবো। উপজেলা থেকে ডাক্তার আনার ব্যবস্থা করবো।
তিনি জানান, আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১১ জন চিকিৎসক রয়েছে। এখন হাসপাতালের দোতলায় একটি সাইডে আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে। অবস্থা বুঝে করোনা ওয়ার্ড বাড়ানো হবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যেসব স্বাস্থ্য নির্দেশনা বা নিয়মকানুন আছে, সবাইকেই তা মেনে চলা উচিত। মাস্ক ব্যবহার ও টিকা নেয়ার বিকল্প নেই।