প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মাওয়াঘাটে সীমিত ফেরি চলাচল আর মেঘনা নদীতে কুয়াশার কারণে চাঁদপুর-শরিয়তপুর নৌ রুটে মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুর হরিণা ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত সাড়ে তিনশতাধিক গাড়ি ফেরি পার হবার জন্য ঘাটে আটকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে বিআইডব্লিউটিসির হরিণা ঘাট ব্যবস্থাপক আবদুন নূর তুষার বলেন, ৭টি ফেরির মধ্য ৬টি ফেরি চলাচল অব্যাহত রয়েছে। গত ৩/৪ দিন যাবৎ এ রূটে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় পার্কিং ইয়ার্ডে তিনশ’ আর রাস্তার উপর প্রায় ৫০টির মতো গাড়ি রয়েছে। আমাদের ফেরিগুলোর চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি দুই-একদিনের মধ্য গাড়ির এ জট থাকবে না।
সরজমিনে হরিণা ঘাটে গিয়ে জানা যায়, গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকট হচ্ছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি নৌপথের দুর্ভোগ। মাওয়া ঘাট বন্ধ থাকায় এই রূটে গাড়ির চাপ আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। তার মধ্যে ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ থাকছে ফেরি চলাচল, আছে ফেরি স্বল্পতার অভিযোগও। এতে ঘাট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সড়কে সারি সারি দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। তীব্র শীতে ট্রাক চালকদের পার্কিং টার্মিনালে এবং সড়কেই পার করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী যান পারাপার করা হলেও তিন থেকে চারদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ট্রাকচালক-হেলপারদের।
হরিণা চৌরাস্তায় আটকাপড়া ট্রাকগুলোর দীর্ঘলাইনের কারণে সেখানে চাঁদপুর-হাইমচর রূটের বিভিন্ন যানবাহনও তীব্র যানজটের কবলে পড়ে যাত্রীসাধারণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। চাঁদপুর-শরীয়তপুর রূটে নতুন ফেরি সংযোজন করা না হলে এ পরিস্থিতি আরো প্রকট আকার ধারণ করবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন।