প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কচুয়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এক প্রার্থীসহ ৩৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কচুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী আবু বকর সিদ্দিকের কাছ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে জানা যায়, ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল আহাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মকবুল হোসেন (পাথৈর ইউনিয়ন), শহিদ উল্লাহ ভূঁইয়া (বিতারা ইউনিয়ন), আলমগীর হোসেন স্বপন (পালাখাল মডেল ইউনিয়ন) ও সাইফুর রহমান বাহাদুর (পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন)-এর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
৬নং কচুয়া উত্তর ইউনিয়নে লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশারের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের সকল প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ বলেন, কিছু ক্ষেত্রে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় এবং আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় নির্বাচনে এ রকম ফলাফল হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির প্রধান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। যে ক’জন নমিনেশন ফরম কিনেছিলো তারা সকলেই দলীয় সিদ্ধান্তকে মেনে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
কচুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ এমদাদুল হক রুমন জানান, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে সমন্বয়হীনতার কারণেই জাতীয় পার্টির একমাত্র প্রার্থী আবুল বাশারের পরাজয় ঘটেছে বলে আমি মনে করি।
উল্লেখ্য, কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অর্ধেকেরও বেশি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।