প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
আগে যারা ভোট কেন্দ্রে গেলে কইতো ‘ভোট শেষ, চাচা বাড়ি চলি যান। এবার তারাই বাড়ি আইয়া কইলো চাচা ভোট দিতে আইয়েন।’ ফরিদগঞ্জের একলাসপুর গ্রামের সেই বয়োবৃদ্ধ ফজলুর রহমান ওরফে মফিজ এবার ভোট দিতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করে এমন মন্তব্যে করেছেন।
ভোটের ক’দিন আগে ওই বৃদ্ধ বলেছিলেন, এবার ভোট দিতে না পারলে অভিশাপ দেব। ফজলুর রহমানের এমন বক্তব্য নিয়ে গত ২৮ ডিসেম্বর দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে একটি বিশেষ রিপোর্ট ছাপা হয়েছিল। এবার ভোট দিতে পেরে ওই বৃদ্ধ বলছেন, নামাজ পড়ে সবাইর জন্যে দোয়া করেছি।
গত ৫ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জের ১৩ ইউনিয়নে সম্পূর্ণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত ভোটের দিন এবার স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পেরে ওই বৃদ্ধের মতো অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
বেশ ক’জন ভোটার তাদের প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, বিভিন্ন হুমকি-ধমকি ও মামলা হামলার ভয়ে ভোট দিতে না পারার আশঙ্কা ছিলো অনেকেরই। তবে জেলা প্রশাসকের কঠোর অবস্থানে থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের কারণে এবার সাধারণ ভোটারগণ ভোট দিতে পেরেছেন বলে অনেকেই জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ ক’জন ভোটার জানান, জনগণই যে ক্ষমতার উৎস, তার প্রমাণ হলো এবারে অনুষ্ঠিত সহিংসতামুক্ত ইউপি নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাররা তাদের ভোট দিতে পারা।
অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত ভোটে জয়ী হওয়া ৯নং গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রভাবশালী প্রার্থী সোহেল চৌধুরী নিজে পরাজয় বরণ করেও একই ইউনিয়নের বিজয়ী বিদ্রোহী প্রার্থী শাহআলম শেখকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনন্দন জানিয়ে তার উদার মানসিকতার বিরল দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, সহিংসতামুক্ত পরিবেশে ফরিদগঞ্জে অনুষ্ঠিত ১৩টি ইউপির নির্বাচন ফরিদগঞ্জবাসীর জন্য যুগ যুগ ধরে একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
এবারের নির্বাচন নিয়ে এখন বিশেষ করে ফরিদগঞ্জের সর্বত্র চাঁদপুরের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও সুযোগ্য পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার)-এর নিরপেক্ষ ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করছেন প্রার্থী ও ভোটারগণ।