প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মতলব দক্ষিণে ৮ম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে রাতের আঁধারে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আহম্মেদ সরকার নামে এক বখাটে যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ৩০ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের দারিন্দা রসুলপুর গ্রামে ঘটেছে। অভিযুক্ত আহম্মেদ সরকার ওই গ্রামের ব্যবসায়ী আবু সায়েদ সরকারের ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার বাড়ৈগাঁও গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শাকিলের সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সে সুবাদে ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রী পরিবারের অগোচরে প্রেমিক শাকিলের সাথে দেখা করতে ঘর থেকে বের হলে ওঁৎপেতে থাকা রসুলপুর গ্রামের আবু সায়েদ সরকারের বখাটে ছেলে আহম্মেদ সরকার ও একই এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিন সরকারের ছেলে আব্দুর রহমান ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে জোরপূর্বক আহম্মেদ সরকারের বসতঘরে নিয়ে যায়। পরে সহযোগী আব্দুর রহমানের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীর হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আহম্মেদ সরকার। ধর্ষণ শেষে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে ফেলে দিয়ে যায় ওই ছাত্রীকে। ঘটনার সময় বখাটে আহম্মেদ সরকারের বাবা-মা বাড়ি ছিলো না।
এদিকে এ ঘটনা যাতে কাউকে না জানানো হয় এমন হুমকি ধর্ষক আহম্মেদ সরকার ধর্ষিতা ছাত্রীকে দেয়ার পরও ছাত্রীটি তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বখাটে আহম্মেদ সরকারের পক্ষ নিয়ে এলাকার কিছু সংখ্যক গ্রাম্য সালিস চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আহম্মেদ সরকার ও তার পরিবারের লোকজন চিকিৎসার নামে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
ধর্ষিতা ছাত্রী জানায়, সে তার প্রেমিক শাকিলের সাথে দেখা করতে বাড়ির পাশে গেলে ওরা শাকিলকে মারধর করে তার মোবাইল রেখে তাড়িয়ে দেয়। পরে তাকে জোরপূর্বক তাদের ঘরে নিয়ে নির্যাতন করে।
ছাত্রীর মা জানান, এলাকার মাতাব্বররা বলেছে এ বিষয়টি যেনো থানায় না জানাই। তারা বলেছে বাড়িতেই ঘটনার সমাধান করে দিবে।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত আহম্মেদ সরকারের মা জানান, আমার স্বামীকে নিয়ে কুমিল্লা হাসপাতালে আছি। ছেলের ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছে। কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।