প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৯:১২
মতলব উত্তরে স্কুল ঘুরে ঘুরে দেখছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
দীর্ঘ দেড় বছর পরে মতলব উত্তর উপজেলার স্কুলগুলোতে প্রবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। সকল স্কুলের পাঠদান ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবিধি পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।
২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল থেকে উপজেলার নবীপুর, খাগুরিয়া, বদরপুরসহ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজ মিয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস বলেন, অনেক দিন পরে স্কুল খোলার কারণে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমরাও অনেক খুশি। স্কুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। সব স্কুলেই এখন থেকে সরকারের সকল নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিত ক্লাস চলবে বলে জানান তিনি।
এমএ কুদ্দুস বলেন, স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। তবে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে, যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। র্যান্ডম স্যাম্পলিং করে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেয়া হতে পারে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মানার ক্ষেত্রে আমরা সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, তাতে কোনো সমস্যা এখনো হয়নি। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীসহ অভিভাবকদের সচেতন করতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে কোনো সমস্যা হবে না। তবে বিদ্যালয়ে আনা নেয়া এবং শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্যে অভিভাবকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। নিশ্চয়ই তারা তা পালন করবেন।
দীর্ঘ ১৮ মাস পর দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সরাসরি শ্রেণি পাঠদানে অংশ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হওয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে চারিদিকে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও উৎসব-আয়োজনের মাধ্যমে যেন বরণ করছে শিক্ষার্থীদের। তাদের পদচারণায় মুখরিত শিক্ষাঙ্গন।
শিক্ষার্থীরা যেমন ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করেছে তাদের স্কুলড্রেস ও বই-খাতা, তেমনি স্কুলের প্রতিটি অঙ্গন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারীরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথে রঙিন বর্ণে ওয়েলকাম লেখা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলার আনন্দে কোনো কোনো স্কুলে নতুন করে রঙ করা হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানের আঙিনায় আল্পনা আঁকা হয়েছে, ক্লাস রুমে বেলুন টানানোসহ বিভিন্ন কারুকাজ দিয়ে সাজাতেও দেখা গেছে। সব মিলিয়ে প্রতিটি স্কুলেই খোলার আনন্দ-উৎসব বিরাজ করছে।
বিভিন্ন স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি কক্ষ নতুন করে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি দরজা-জানালা ও সিঁড়ির গ্রিল জীবাণুনাশক ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে।