প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৫৩
হাজীগঞ্জে বিরোধীয় সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ
হাজীগঞ্জে বিরোধীয় সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে বাকিলা ইউনিয়নের সন্না গ্রামের লোধ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পাশের বাসিন্দা খাইরুজ্জামান খোকা অভিযোগটি করে হানিফ মিজির নামে। তিনি এ দিন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, থানা পুলিশ ও সংবাদকর্মীদের এমন অভিযোগ করেন। অভিযোগটি অসত্য আর বানোয়াট বলে জানান হানিফ মিজি। অভিযোগকারী খায়রুজ্জামান খোকা জানান, ১৯৯৫ সালে ইউনিয়নের সিএস ১৯৫নং হাল ৩৮নং সন্না মৌজার ২৩৬৯ ও ২৩৭০ দাগে তিনি ৫২ শতাংশ ভূমি ক্রয় করে গত প্রায় ২৯ বছর যাবৎ ভোগ-দখলে আছেন। এর মধ্যে হানিফ মিজি একই দাগের মধ্যে ২১.৬৯ শতাংশ ভূমি ক্রয় দাবি করে তার দখলকৃত সম্পত্তির মধ্যে কিছু অংশ জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্যে তিনি আদালতে মামলা করেছেন, যা চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আদালত ছাড়াও আমি হাজীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছি। যার তদন্তে ছিলেন এসআই গোপিনাথ। বর্তমানে অভিযোগটি আছে এসআই মো. বিল্লাল হোসেনের কাছে। এখন আদালতে ও থানায় মামলা চলমান থাকার পরও রোববার সকালে হানিফ মিজি লোকজনকে দিয়ে আমার ভোগ-দখলীয় সম্পত্তি তার দখলে নেওয়ার চেষ্টা করলে আমি ৯৯৯, থানা ও সাংবাদিকদের জানিয়েছি। পরে পুলিশ ও সাংবাদিক ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি স্বচক্ষে দেখেছেন। খোকা অভিযোগ করে আরো বলেন, এই সম্পত্তিতে হানিফ মিজি ১৪৫ ধারায় আদালতে স্থিতাবস্থা চেয়ে আবেদন করেছেন এবং আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। অথচ তিনি বাদী হয়ে ওই স্থিতাবস্থা ভঙ্গ করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করছেন। আমি আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে আদালত, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করি। এদিকে অভিযোগ পুরেপুরি অস্বীকার করে হানিফ মিজি বলেন, খায়রুজ্জামান খোকা যার কাছ থেকে ৫২ শতাংশ জায়গা (ভূমি) কিনেছেন, তিনি হিস্যা অনুযায়ী ২৯ শতাংশের মালিক। যার ফলে অভিযোগের ভিত্তিতে এসি (ল্যান্ড) অফিস তার খারিজ বাতিল করে যতোটুকু সঠিক তাকে ততোটুকুর রায় দিয়েছে। আমার সাথে খোকা কিংবা তিনি যার কাছ থেকে জায়গা কিনেছেন, তার সাথে ক্রয়-বিক্রয়ের সম্পর্ক নেই। আমি অন্য মালিকের কাছ থেকে জায়গা কিনেছি। হানিফ মিজি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, খায়রুজ্জামান খোকা অন্যের মালিকানাধীন এবং আমার ক্রয়কৃত ২১.৬৯ শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন। যার ফলে আমি আদালতে ১৪৫ করেছি। পরবর্তীতে ১৪৫ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শনিবার রাতের কোনো এক সময়ে আমার দখলকৃত স্থাপনা তিনি ভেঙ্গে ফেলেছেন। ওই স্থাপনা আমি লোকজন দিয়ে রোববার সকালে সংস্কার করেছি। অথচ তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ রটাচ্ছেন। খাইরুজ্জামান খোকার যে অভিযোগ তা নিয়ে থানা, ইউনিয়ন পরিষদসহ স্থানীয়ভাবে একাধিকবার বসার কথা ছিলো। কিন্তু তা নিয়ে বারবার সময়ক্ষেপণ করেছেন। এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, সম্পত্তিগত বিরোধের বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সমাধান হবে। আর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।