সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২২:০০

বিপণীবাগ বাজারে ৫০মণ ইলিশ অবিক্রিত!

স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিপণীবাগ বাজারে  ৫০মণ ইলিশ অবিক্রিত!

পদ্মা-মেঘনায় ৭০কিলোমিটার অভয়াশ্রমে মা ইলিশ ধরার ২২দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা গত মধ্যরাত থেকে আরোপের পূর্বে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই জেলা শহরের প্রায় সব মাছ বাজারে ইলিশের দর পতন হতে থাকে। কেজিতে হাজার থেকে ১২শ’ টাকা কমে বিক্রি হয় ইলিশ। ব্যবসায়ীরা বলেছেন ‘এবার ধরা খেলাম শেষ সময়ে’। অথচ গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার  এক কেজি ইলিশ বিক্রি হলো ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা করে। শুক্রবার এক কেজি ইলিশ বিক্রি হলো ২৮শ’ থেকে তিন হাজার  টাকায়, যা ছিলো স্মরণাতীতকালের রেকর্ড।

লক্ষ্য করা গেছে, শনিবার রাত যত  বাড়ছিলো, কেজি প্রতি ইলিশের দামও কমে আসছিলো। বাজারে ক্রেতাও ছিলো কম। জেলার সবচাইতে বড়ো মাছ ঘাট ‘বড় স্টেশন মাছ ঘাটে’ও ইলিশ মাছের দরপতন হয়েছে।

এ ঘাটে কম দামে ১৫শ’ থেকে শুরু করে ১৭শ’ টাকা কেজি দরে ইলিশ বিক্রি হয় শনিবার  বিকেলে ও সন্ধ্যারাতে।  আলাপকালে এমনটি জানান প্রবীণ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম ও সাজাহান সরদার। শনিবার প্রায় ৩০০ মণ ইলিশের আমদানি হয় এ ঘাটে। এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আলহাজ্ব শবেবরাত সরকার। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বিক্রির শেষ সময়ে এক কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৬শ’ থেকে ১৭শ’ টাকায়। ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৫শ’ টাকা। ৫০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২শ’ টাকা কেজি দরে।

অপরদিকে রাত দশটা থেকে সাড়ে দশটায় শহরের ব্যস্ততম কাঁচা বাজার বিপণীবাগ মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায় ইলিশ মাছ কেনার মানুষই নেই। চকচকে ইলিশ সামনে নিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন বিক্রেতারা। মাছ বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বললেন, আজ পুরা ধরা খেলাম। মাছের দাম কমে গেছে। লোকসান হলো অনেক। মফিজ বেপারী, দেলোয়ার হোসেন শেখ, হাফেজ, খোরশেদ আলম, হামিদ বাবু নামে অন্য  মাছ বিক্রেতারা একই সুরে কথা বললেন।

এ বাজারে দেখা যায়, পদ্মার এক কেজির ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৬শ’ টাকায়, ৯০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৫শ’ টাকা  কেজিতে। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের ইলিশ বিক্রি হয়েছে হাজার টাকা কেজিতে। ছোট ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা কেজিতে।  

এ সুযোগে অনেক ইলিশপ্রেমিক মাছ কিনে বাড়ি ফিরছিলেন। হাসিমুখে রিকশায় উঠতে উঠতে  ইলিশের দাম নিয়ে কথা বলেন সদরের দাসাদী ও আমানউল্লাহপুর  গ্রামের তিন বন্ধু জসীম, আনোয়ার ও অন্য একজন। তারা এক সাথে ৬টি ইলিশ কিনেছেন ১ হাজার ৪৫০ টাকা কেজিতে ব্যবসায়ী খোরেশেদের কাছ থেকে।

রাত ১১ টায় এ বাজারে ২জন নারী হিজড়াও এসেছিলেন ইলিশ কিনতে। একই অবস্থা দেখা গেছে গত শনিবার শেষ বিকেল থেকে সন্ধ্যারাত অবধি জেলা শহরের পালবাজার, নতুনবাজার, পুরাণবাজার, ওয়্যারলেস বাজার, বাবুরহাট বাজার  ঘুরে ঘুরে। মাছের সরবরাহ ছিলো যথেষ্ট।    

বিপণীবাগের  ইলিশ ব্যবসায়ী আঃ হামিদ বাবু, আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন রাত ১১টায় জানান, অবিক্রিত ইলিশ গুলো ডিপ ফ্রিজে রেখে পরে বিক্রি করা হবে। এভাবে প্রায় ৫০ মণ ইলিশ বিপণীবাগ বাজারে অবিক্রিত থাকে।

ব্যবসায়ীরা বললেন, গত ২দিন (শুক্র ও শনিবার) ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি  না হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। ইলিশের বাজারে হলো দরপতন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়