প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২২:৪৯
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান
হাইমচরে নৌপুলিশের সচেতনতামূলক সভা
হাইমচরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪ উপলক্ষে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ অক্টোবর ২০২৪ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় হাইমচরের চরভৈরবী মাছঘাটে চাঁদপুরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৪ উপলক্ষে মৎস্যজীবী, জেলে, আড়তদার ও বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমতিয়াজ আহম্মেদ পিপিএম ও মৎস্যজীবী নেতৃবৃন্দ। সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ, মা ইলিশকে রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। মা ইলিশ রক্ষার্থে চাঁদপুর অঞ্চলে নৌ পুলিশ সার্বক্ষণিক নদীতে মোতায়েন থাকবে। সিভিল প্রশাসন ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে নৌ পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে।
অন্যান্য বক্তা মৎস্যজীবীদেরকে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান চলাকালীন মৎস্য আহরণ করা হতে বিরত থাকার আহ্বান জানান। মা ইলিশ মেঘনা নদীতে এসে সুন্দরভাবে তার ডিমগুলো ছেড়ে যাতে বংশবৃদ্ধি করতে পারে সে সুযোগ দিতে হবে ।তাদের বক্তব্যে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তারা আরো বলেন, আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে মৎস্য আইনে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান প্রযোজ্য হবে।
মা ইলিশ বাংলাদেশের অন্যতম ভৌগোলিক পণ্য এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। এই মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে চাঁদপুর অঞ্চলে নৌ থানা ও ফাঁড়িগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রজনন এলাকাগুলোতে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা সকল জেলে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং এই কর্মসূচি সফল করার জন্যে সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান।স্থানীয় মৎস্যজীবীদের বক্তব্যে জানা যায় , ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞার সময় সচেতনতার প্রচার ও কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ইলিশের প্রজনন প্রক্রিয়াকে সুরক্ষিত করার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত জরুরি। আশা করা যায় যে, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে ইলিশের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরো বাড়বে।