প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:২৩
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মিরপুর রোডের বেহাল দশা
ঝিলের মাছচাষী ও পৌরসভা ভালো থাকলেও ভোগান্তি জনগণের
ফরিদগঞ্জ থেকে কড়ৈতলী সড়কের মিরপুর অংশের অবস্থা খুবই নাজুক। দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে খুব বাজে অবস্থা হয়ে আছে সড়কটির। এটি এখন দেখে উপায় নেই, একসময় এই রাস্তাটিই ছিলো মসৃণ পিচ ঢালাইয়ে মোড়ানো। রাস্তাটি আজ বড়োই রুগ্ন। এমন ভাঙ্গাচুরা রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছেন শত শত মানুষ এবং যানবাহন। সঠিক সময়ে রাস্তাটির সংস্কার না হলে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার এই মিরপুর রাস্তাটির দুপাশে বড়ো বড়ো ঝিলে মাছের চাষ হওয়ায় এমনিতেই রাস্তাটির বেহাল দশা থাকে সবসময়। পৌর নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পাকা রাস্তা অগ্রাধিকার থাকে। পৌর সদরের নিকটবর্তী হলেও রাস্তাটি প্রায় সময়ই খারাপ থাকে। রাস্তার দুপাশে মাছের ঝিল থাকায় বার বার নষ্ট হয়ে যায়। মাছ চাষীদের সাথে সমন্বয় করে পৌর কর্তৃপক্ষ একটি কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে, যাতে করে একটি টেকসই সড়ক নির্মাণ করা যায়। একদিকে পৌরবাসী বড় অঙ্কের টাকা দিচ্ছে, অপরদিকে মাছ চাষিরা বছর বছর বড় অঙ্কের মুনাফা নিচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এবং মাছ চাষীরা ভালো থাকলেও ভালো নেই রাস্তাটি। ভালো নেই পথচারীরা।
সবসময়ের অবহেলিত এই রাস্তাটি সাম্প্রতিক জলাবদ্ধতায় একেবারেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জলাবদ্ধতায় রাস্তার কার্পেটিং উঠে গিয়ে একাধিক গর্ত তৈরি হয়েছে পুরো রাস্তা জুড়ে। অবস্থা এতোটাই ভয়াবহ যে, এই রাস্তা দিয়ে সুস্থ সবল মানুষ চলাচল করাও কঠিন। অসুস্থ রোগী নিয়ে যাতায়াত করতে হয় দূরবর্তী বিকল্প রাস্তা দিয়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অটোরিকশা, পায়ে চালিত রিকশা এবং সিএনজি অটোরিকশা । ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে চালাতে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে তাদের যানবাহন। এখন পর্যন্ত বেশ ক'টি অটো গাড়ি উল্টে পড়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে যে, কিছুদিন পর অন্ধকারে পায়ে হেঁটে চলাটাও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। যথাযথ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই দুর্ভোগ আদৌ দূর হবে কিনা সেটি আমাদের জানা নেই। অতি দ্রুত রাস্তাটির অন্তত গর্তগুলো ভরাট করে হলেও চলাচল উপযোগী করার দাবি জানাচ্ছি।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সচিব আবু সুফিয়ান বলেন, জলাবদ্ধতায় রাস্তার অতিরিক্ত ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটি নিয়ে আমি পৌর প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।