প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৪
বন্যার পানিতে মহিষের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ান ইয়াছিন
নোয়াখালীতে বন্যায় পানিবন্দি হয়ে জীবন যাপন করছে ২১ লাখ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে জীবনকে সচল রাখতে অনেকে বিকল্প পথে হাঁটছেন। তেমনই একজন নোয়াখালীর কবিরহাটের সুন্দলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম রাজুরগাঁও গ্রামের মো. ইয়াছিন।
স্থানীয়রা জানায়, যুব বয়সী ইয়াছিন মহিষ দুলালীকে বাহন বানিয়ে বন্যার পানিকে মাড়িয়ে করছেন নানা কাজ। মহিষের পিঠে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক জমি থেকে অন্য জমিতে। কখনো মহিষের সাথে জলের খেলা খেলছেন, কখনো মহিষের পিঠে চড়ে নেমে যাচ্ছেন খালের পানিতে।
মো. ইয়াছিন জানান, গত ৪০ বছর উপজেলার রাজুরগাঁও গ্রামে মহিষ পালন করে আসছে তার পরিবার। তার বাবা আব্দুল মজিদের পর মহিষ পালনের হাল ধরেন তিনি। তাদের মহিষের পালে ছিলো ৬০টি মহিষ। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভেসে যায় ১৭টি মহিষ, চুরি হয়ে যায় ৩টি মহিষ। বাকি ৪০টি মহিষ পরিচর্যা করতে মহিষ দুলালীই তার একমাত্র ভরসা। দুলালী গরম সহ্য করে না, তাই প্রায় সময় কাদা মাটি ও পানিতে গড়াগড়ি করে। মালিকের সাথে তার বেজায় ভাব। গ্রামবাসীর কেউ কেউ তার এসব কাণ্ড দেখে অবাক হয়। তারা ভীষণ আলোড়িত হয়, এই দৃশ্য দেখতে ভীড় জমায়।
স্থানীয় শিক্ষক ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, কবিরহাট অঞ্চলে কালের বিবর্তনে কমে গেছে মহিষ পালন। আগের মত এখন আর চোখে পড়ে না মহিষের পাল। কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, বাথান জমি কমে যাওয়া, সবুজ ঘাসের অভাব এবং চোর সিন্ডিকেটের কারণে বিলুপ্তির পথে মহিষ পালন। গবাদি পশু লালন পালনে মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠুক আগের মত-- সচেতন মহলের প্রত্যাশা এমনটাই।