শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

কৃষি জমির নামে অবৈধভাবে লিজ

নানুপুর স্লুইস গেইট এলাকায় গড়ে উঠেছে বালির ব্যবসা

সোহাঈদ খান জিয়া ॥
নানুপুর স্লুইস গেইট এলাকায় গড়ে উঠেছে বালির ব্যবসা

চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর স্লুইস গেইট (চর বাগাদী পাম্প হাউস) এলাকায় অবৈধভাবে কাগজপত্র তৈরি করে কৃষি কাজের নামে ভুয়া লিজ নিয়ে বালির ব্যবসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, নানুপুর স্লুইস গেইট এলাকার স্টাফ কোয়ার্টারের নিকট ডিএনসি বাজার সংলগ্ন স্থানে কৃষি জমির নামে অবৈধভাবে হুমায়ুন কবির, খোরশেদ আলম ও ওমর ফারুক মিজির নামে লিজ নেয়া হয়। কিন্তু তারা কৃষি কাজে জায়গা ব্যবহার না করে গড়ে তোলেন বিশাল বালির ব্যবসা। দিন দিন দখল করে নেন আরো ২ একর জমি। এছাড়া আরো জমি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা করে আসছেন। কিন্তু পাউবোর জায়গা লিজ বন্ধ থাকাবস্থায় জালজালিয়াতি করে ব্যাক ডেট দিয়ে এ লিজ নেয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র জানায়।

পাউবো অফিসের সাবেক কর্মকর্তা উত্তম কুমার অর্থের বিনিময়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এ লিজ প্রদান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি জায়গা সরকারি কর্মকর্তাই ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে লিজ প্রদান করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, রক্ষক হয়ে উত্তম কুমার ভক্ষকের ভূমিকা পালন করা কতোটুকু সঠিক কাজ করেছেন।

ভুয়া লিজ গ্রহীতারা ১ একর সরকারি জায়গা লিজ নিয়ে জায়গা দখল করলেও বর্তমানে তারা ৩ একরের উপর জমি ভোগদখল করে আসছেন। তারা বালির ব্যবসার পাশাপাশি নদীর তীরে ঘাট তৈরি করে বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্টের ট্রলার ভিড়িয়ে ট্রাক দিয়ে মাল বিভিন্ন জায়গায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। সরকারি জমি এভাবে দখল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও কর্তৃপক্ষ নীরব ভূমিকা পালন করার রহস্য কী--এমন কথা উঠেছে।

মনে হচ্ছে, উত্তম কুমার অফিসের সকল কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই ভুয়া লিজটি প্রদান করে দিয়ে যান। এ নিয়ে ওই সময় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পাউবো কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও পাউবো কর্তৃপক্ষ অবৈধ ও জাল-জালিয়াতির লিজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মনে হচ্ছে, তাদেরকে বড় ধরনের অর্থ দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লিজ বন্ধ থাকাকালে তারা কীভাবে লিজ নিয়েছে। আমাদের জানা মতে, তারা অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে কাগজপত্র তৈরি করে লিজ নেয়। তাদের লিজ সঠিক নয়। এ বিষয়টির ব্যাপারে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর পওর বিভাগের সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা উত্তম কুমার সরকার মোবাইল ফোনে বলেন, এ ধরনের কাজ আমি করি না। আমার মনে পড়ে না।

চাঁদপুর পওর বিভাগের সহকারী রাজস্ব অফিসার আমির হোসেন বলেন, কেউ অনিয়ম করে অবৈধভাবে ইজারা নিলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়