শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর : মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা-৫

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্বে থাকলে মুক্তিযোদ্ধারা আরো সম্মান পাবেন

------------খালেদা বেগম

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের নেতৃত্বে থাকলে মুক্তিযোদ্ধারা আরো সম্মান পাবেন
মিজানুর রহমান ॥

চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের পূর্ব জাফরাবাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুর রশিদ মিয়াজীর জ্যেষ্ঠ সন্তান, চাঁদপুর পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর খালেদা বেগম। তাঁর বাবা মুক্তিযুদ্ধের ২নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন তার বাবার বন্ধু ছিলেন প্রয়াত হারুন কমান্ডার, রুহুল আমিন গাজীসহ আরো অনেকে।

মহান বিজয়ের মাসে চাঁদপুরের শীর্ষ দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ‘মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ভাবনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন নিজের কথা, বাবার কথা এবং জাতির প্রতি কর্তব্য কী হওয়া উচিত।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার বাবা (যিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা)-এর নাম ও সংক্ষিপ্ত পরিচয় কী? তিনি কোথায় যুদ্ধ করেছেন?

খালেদা বেগম : বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ মিয়াজী, যিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ২নং সেক্টরের অধীনে কুমিল্লা অঞ্চলের চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ ও হাজীগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের সময় বাবা যখন মুক্তিযুদ্ধে যান তখন আমি মায়ের পেটে ছিলাম। মাকে নানার বাড়ি রেখে (সদর উপজেলা কোটরাবাদ গ্রাম) বাবা যুদ্ধে চলে যান। এর মধ্যে কয়েকবার হানাদার বাহিনী আমাদের বাড়ি পুরাণবাজার পূর্ব জাফরাবাদ দাদার বাড়িতে আক্রমণ করেছে। আব্বারে পাইবো কই, আব্বা তো যুদ্ধে চলে গেছে। দাদা-দাদী, ফুফুরা যুদ্ধের সময় অন্যত্র পালিয়ে ছিলো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আপনার অনুভূতি কী?

খালেদা বেগম : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত। তারা যুদ্ধ না করলে তো এই দেশ স্বাধীন হতো না। আমাদের মতো কেউ মন্ত্রী, এমপি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান, মেম্বার, মেয়র, কাউন্সিলর কিছুই হতে পারত না। পাকিস্তানীদের গোলাম হিসেবে থাকতে হতো সারা জীবন। এজন্যে মুক্তিযোদ্ধা ও সকল শহীদের অতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সঞ্চারে আপনার করণীয় কী কী হওয়া উচিত বলে মনে করেন?

খালেদা বেগম : মুক্তিযোদ্ধারা আশা করেছিলেন, সুন্দর শান্তিময় পরিবেশে সবার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হবে। মুক্তিযোদ্ধার একজন সন্তান হিসেবে আমরা সুন্দর একটা রাষ্ট্র সমাজ গড়তে চাই। ওই হিসেবে স্বাধীনতার এতো বছরেও আমরা তা করতে পারি নি। দুর্নীতিবাজ দখলবাজদের কারণে আমরা সুন্দর রাষ্ট্র পাচ্ছি না। মুক্তিযোদ্ধারা আগে অনেক অবহেলিত ছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারে আসার পর বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুক্তিযোদ্ধারা যতটুকু সম্ভব সম্মান পাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি দেশের নেতৃত্বে থাকলে মুক্তিযোদ্ধারা আরো সম্মান পাবেন। ওনার একজন কর্মী হিসেবে আমরা তাঁর সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি।

খালেদা বেগম চাঁদপুর পৌরসভার চারবারের নির্বাচিত সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর। তিনি চাঁদপুর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্বামী মোঃ মিজানুর রহমান ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। কয়েক বছর পূর্বে তিনি মারা গেছেন। তিন কন্যা সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ি চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার পূর্ব শ্রীরামদী মমিন কোম্পানী আবাসিক এলাকায় বসবাস করছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এই পরিচয়ে জনগণের সেবায় ও সামাজিক কাজে নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রেখে চলেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়