মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৯

জলাবদ্ধতায় একলাশপুর স্কুলের খেলার মাঠ

মাহবুব আলম লাভলু ॥
জলাবদ্ধতায় একলাশপুর স্কুলের খেলার মাঠ

মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে ও তারা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিপাত ও সঠিক নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে পানিতে তলিয়ে আছে। এটি দেখলে এখন পুকুর মনে হয়।

স্থানীয়রা জানান, এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ছিলো এক সময় এলাকার খেলাধুলার প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন বিকেলে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় যুবকদের উপস্থিতিতে মুখর থাকতো মাঠটি। বর্তমানে মাঠের অধিকাংশ জায়গা পানিতে ভরা। আবর্জনায় ভরে গেছে মাঠের চারপাশ। মাঠের পাশেই ইউনিয়ন পরিষদের ভবন। পরিষদের আসা যাওয়ার রাস্তায় পানি জমে থাকে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি বিদ্যালয়ের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে দিনদিন।

স্থানীয় সোহরাব হোসেন বলেন, এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। কিন্তু মাঠের এই বেহাল অবস্থায় এখন আর শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার জায়গা নেই। প্রশাসনের উচিত দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।

এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান জানান, বৃষ্টি হলেই পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও চলাফেরা করতে সমস্যা হয়। মাঠ মেরামতে উপজেলা প্রশাসন থেকে দেড় লক্ষ টাকা পেয়েছি। এ টাকা দিয়ে হবে না। আরো অনুদান পাওয়া যাবে জানতে পেরেছি। টাকা পেলেই কাজ শুরু করবো।

এখলাছপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বলেন, মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্যে একটি স্থায়ী ড্রেন নির্মাণ প্রয়োজন। অবস্থান অনুযায়ী, এখলাছপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ এখন একটি স্থায়ী জলাশয়ের মতো অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, যা শুধু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, পুরো এলাকার মানুষকেই হতাশ করছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, মাঠ সংস্কারের জন্যে উপজেলা পরিষদ থেকে একটি বরাদ্দ দেওয়া হবে আমি জানি। খেলাধুলার জন্যে মাঠটি সংস্কার করা প্রয়োজন। বিষয়টি আমি দেখবো।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি বলেন, এই মাঠটি সংস্কার করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। উপজেলা পরিষদ থেকে কিছু টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা দিয়ে সংস্কার করা সম্ভব নয়। আরো অর্থ পেলে শীঘ্রই কাজ শুরু করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়