বুধবার, ০৬ আগস্ট, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৬

খেলাধুলায় নিজের উপার্জিত অর্থ বিলিয়ে আনন্দ পান শাহরাস্তির জাহাঙ্গীর আলম

মো. মঈনুল ইসলাম কাজল
খেলাধুলায় নিজের উপার্জিত অর্থ বিলিয়ে আনন্দ পান শাহরাস্তির জাহাঙ্গীর আলম

তিনি একজন চাকুরিজীবী, থাকেন রাজধানী ঢাকায়। কিন্তু নিজেকে সবসময় খেলাধুলার সাথে জড়িয়ে রাখছেন। তিনি একজন খেলোয়াড় ছিলেন। দেশের নামিদামি খেলোয়াড় না হলেও ব্যাট বল নিয়ে ছাত্র জীবনে চষে বেড়িয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন খেলার মাঠে। নিজে প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড় না হলেও খেলাধুলার নেশা তাঁকে আঁকড়ে ধরেছে। সেই নেশা থেকে আজও মুক্তি মেলেনি। তাইতো নিজের উপার্জিত অর্থ সুযোগ পেলেই ব্যয় করেন ক্রীড়াঙ্গন চাঙ্গা রাখতে। নতুন প্রজন্মকে মাদকের নেশা থেকে মুক্ত করতে খেলাধুলায় আকৃষ্ট করে যাচ্ছেন তিনি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় উৎসাহিত করতে স্পন্সর হিসেবে তিনি সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উপজেলাভিত্তিক বেশ ক’টি শিরোপা অর্জন করেছে তাঁর দল। যেখানেই প্রতিযোগিতা সেখানেই অংশগ্রহণ তাঁর জন্যে রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উপজেলার ক্রীড়ামোদীদের কাছে জাহাঙ্গীর আলম এখন একটি পরিচিত মুখ। শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পশ্চিম ইউনিয়নের পাথৈর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাথৈর ফাইভ স্টার ক্লাবের কার্যক্রম যখন ঝিমিয়ে পড়েছিলো, ঠিক তখন ২০১৮ সালে ক্লাবটির পৃষ্ঠপোষকতার দায়িত্ব নেন জাহাঙ্গীর আলম। এলাকার যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করে ক্লাবটিকে চাঙ্গা করে তোলেন তিনি। অর্জন করেন বেশ ক’টি শিরোপা--উপজেলার খামপাড় ফ্রেন্ডস ক্লাব ফুটবল টুর্নামেন্টের ২ বার চ্যাম্পিয়ন, বিজয়পুর ফুটবল টুর্নামেন্টের দুই বারের চ্যাম্পিয়ন, বিজয়পুর ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন, শাহরাস্তি স্পোর্টিং ক্লাব আয়োজিত ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন। এছাড়াও মরহুম দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালিস্ট হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। শুধু খেলাধুলায় নয়, বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনে তাঁর সহযোগিতার হাত প্রসারিত থাকতে দেখা যায়।

ক্রীড়াপ্রেমী মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, তাঁর উপার্জিত অর্থ খেলাধুলায় ব্যয় করে তিনি আনন্দ পেয়ে থাকেন। এলাকার যুবসমাজকে খেলাধুলায় উদ্বুদ্ধ করতে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, নতুন প্রজন্ম মাদক ও মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এতে করে তারা পড়ার টেবিলে না গিয়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে সমাজ মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। তিনি জানান, খেলাধুলার মাধ্যমে তাদেরকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত করা সম্ভব। তিনি নিজেও একজন খেলাপাগল ব্যক্তি, তাই খেলাধুলায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যে কোনো প্রতিযোগিতায় তাঁর দলের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতার হাত প্রসারিত থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাহাঙ্গীর আলম।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়