প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৮
চাঁদপুর স্টেডিয়ামে হবে বিজয় দিবস টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বিজয় দিবস টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে না হলেও নতুন বছরে এ টুর্নামেন্ট শুরু হবে বলে জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা যায়। সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও ক্লাব কর্মকতাদের উপস্থিতিতে রোববার ( ৮ডিসেম্বর ২০২৪) বিকেলে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মোস্তাফিজুর রহমান।
চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্যে এর আগেও ক্রীড়া সংগঠকদের নিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্যাভিলিয়নে সভা অনুষ্ঠিত হয়। রোববারের সভায় সকলের সিদ্ধান্ত মতে আলোচনা হয় যে, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ক্লাবগুলোকে নিয়েই এ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে ক্লাবগুলোকে চিঠিও দেয়া হয়েছে। বেশ ক'টি ক্লাব খেলবে বলে ইতোমধ্যে সম্মতি প্রকাশ করেছে।
টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন জেলা ক্রীড়া অফিসার রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের সহকারী ও জেলার প্রধান ক্রিকেট কোচ শামিম ফারুকী, ক্রীড়া সংগঠক অ্যাড. নুরুল আমিন খান আকাশ, সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সংগঠক ফয়সাল আহমেদ বাহার, জাহিদ আল রিফাই, শেখ মঞ্জুরুল কাদের সোহেল, ক্রীড়া সাংবাদিক অ্যাড. ইয়াসিন আরাফাত (চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম), সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার অ্যাড. বিশ্বজিত কর রানা, সাবেক ক্রিকেটার সোলেমান, কামরুল ইসলাম, ইসমাইল খান, ছাত্র প্রতিনিধি ঐশ্বর্য, মোরসালিন প্রমুখ।
উপস্থিত ক্রীড়া সংগঠক ও ক্লাব কর্মকতাদের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চাঁদপুর আপনাদের এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থাও আপনাদের। ক্রিকেট খেলার বিষয়ে ১ মাস আগেও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো অগ্রগ্রতি হয়নি। আমরা ক্রিকেট খেলার জন্যে ইতোমধ্যে মাঠও প্রস্তুত করে রেখেছি। শনিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের যুগ্ম সচিবসহ বেশ ক'জন কর্মকর্তা চাঁদপুর স্টেডিয়াম পরিদর্শন করাকালে তাঁরা বলেন, মাঠটি খেলাধুলা চালানোর জন্যে পুরোপুরি ফিট। আশা করি নতুনভাবে শুরু হওয়া টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ক্লাবগুলো তাদের ক্রিকেটের দল নিয়ে অংশগ্রহণ করবে। এতে করে জেলা ও উপজেলাতে অনুশীলনকারী বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারসহ নিয়মিত অনুশীলনকারী ক্রিকেটাররা খেলার সুযোগ পাবে। আমরা চাই নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা হোক। নিয়মিত খেলাধুলা হলেই মাঠে দর্শক বাড়বে এবং খেলোয়াড়রা তাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবে।
আলোচনায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অনেক ক্লাব খেলাধুলায় অংশগ্রহণের জন্যে বেশ আগ্রহী। ২০টি দলকে চিঠি দেয়া হলেও ১০টি দলও যদি অংশ নেয়, তাদেরকে নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করা হবে। দলগুলোকে নিয়ে প্রথমে লীগ পর্যায়ে এবং পরবর্তীতে নক আউট পদ্ধতিতে খেলাগুলো হবে। গত কয়েক বছর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নামকরা অনেক ক্লাবই খেলাতে অংশ নেয়নি বিভিন্ন কারণে। অনেক দিন ধরেই জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে কোনো টুর্নামেন্ট হচ্ছে না। তাই ক্রিকেট দিয়ে খেলা শুরু করা হবে।
ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এ টুর্নামেন্টে যদি ভালো পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায়, তাহলে অংশ নেয়া ক্লাবগুলোকে সেই অনুযায়ীই সেবা দেয়া যাবে। এবারের টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলের জন্যেই থাকবে জেলার বয়সভিত্তিক দল অনূর্ধ্ব ১৬ ও ১৮ দলের ৫ জন ক্রিকেটার। এছাড়াও থাকবে ২ জন কোটা অনুযায়ী ক্রিকেটার। এ কোটায় জাতীয় ক্রিকেট দলসহ ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের ক্রিকেটারও খেলতে পারবেন। এছাড়া জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপে চাঁদপুরের হয়ে যারা খেলছেন তারাও বিভিন্ন দলের হয়ে খেলতে পারবেন। ক্রিকেটকে জাগ্রত করতে হলে ক্লাব ক্রিকেটের বিকল্প নেই। ঝিমিয়ে পড়া ক্রিকেটকে টি-২০ দিয়ে শুরু হলে ভালো হবে বলে সভায় উপস্থিত সকলেই সম্মতি প্রকাশ করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে চিঠি দেয়া ক্লাবগুলোর অংশগ্রহণের বিষয়ে সর্বশেষ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেঁধে দেয়া হয়েছে।