মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫, ২১:৪৩

বড় স্টেশন এলাকায় সকল অপকর্মের নেপথ্যে মাদক কেনাবেচা

মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কে এই রহিম?

স্টাফ রিপোর্টার।।

চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশনসহ আশপাশের এলাকার সকল অপকর্মের মূলে রয়েছে মাদক। শুধু মাদকের কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন পরপরই এ এলাকা ও আশপাশের এলাকায় নানা ধরনের ঘটনা ঘটে চলছে । আর এ সকল ঘটনার মূল নেপথ্য-নায়ক জনৈক আ. রহিম। এই রহিম হচ্ছে ওই এলাকার মাদকের অঘোষিত সম্রাট। কিন্তু একই নামে ৩/৪জন ব্যক্তি থাকায় সুস্পষ্টভাবে মাদকের সম্রাট কোন্ রহিম, সেটি কেউ কেউ জানলেও নানা কারণে মাদক সম্রাট আ. রহিমকে চিহ্নিত করছে না। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় উক্ত আ. রহিম শুধু বড় স্টেশন এলাকায় নয়, পুরো শহরেই মাদক নিয়ন্ত্রণ করছে।

জানা যায়, বড় স্টেশন এলাকায় আ. রহিম নামের যে ২/১ জন বাসিন্দা রয়েছে, এদের পূর্বের ইতিহাসে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার বেশ কিছু সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে।

এলাকাবাসী জানায়, ইতোমধ্যে বড় স্টেশন ও আশপাশের এলাকাগুলো মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। আর মাদকের মধ্যে ইয়াবা, গাঁজাসহ সকল ধরনের মাদক বিক্রি করছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আ. রহিম। তার রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। কেউ তার বিরুদ্ধে কিছু বললেই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাদের ওপর হামলা করা হয়। তার কারণে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ।

এ ব্যাপারে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ী আ. রহিম শাহরাস্তি উপজেলার বাসিন্দা। বড় স্টেশন মাছঘাটে কাজ করার সুবাদে সে পৌর ৭নং ওয়ার্ডে ভাড়া থাকতো। বর্তমানে রেলওয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বসবাস করে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে। কয়েক বছর পূর্বে মাছঘাটের কর্মচারী আ. রহিম বর্তমানে কয়েক কোটি টাকার মালিক।

ডকইয়ার্ড, সাবেক লঞ্চঘাট ও স্টিমারঘাট এলাকায় ছোট ছোট কোমলমতি শিশুদের দিয়ে কৌশলে সে মাদক বিক্রি করাচ্ছে। কিন্তু সে থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার অপর সহযোগী হলো মিলন ও রানা। বর্তমানে রানা জেল হাজতে রয়েছে। মাদক বেচা-কেনা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৭নং ওয়ার্ডে আ. রহিম, মিলন, রানা ও ইমানের সাথে একধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এর আগে কয়েকবার আ. রহিমের বাড়িতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেও তাকে ধরতে পারেনি। যুব সমাজকে তার মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

এদিকে এ সকল মাদকের সিন্ডিকেটের বিষয়ে রহিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, নামে নামে জমে টানে। এ বিষয়ে আমাকে প্রায়ই প্রশাসনের ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু উপরে আল্লাহ জানে আমি এবং আমার পরিবারের কেউ এ ধরনের কোনো কাজের সাথে জড়িত নয়। আমি ব্যবসা-বাণিজ্য করি, নামাজ-রোজা করি এটুকুই। কিন্তু নানা কারণে কিছু ব্যক্তি আমাকে ইন্ডিকেট করে মন্তব্য করছে। আল্লাহ আছে, আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়